২০২১ সালে একটি ছবি তৈরি করেছিলেন পরিচালক-অভিনেত্রী অপর্ণা সেন। সেই ছবির নাম ছিল ‘দা রেপিস্ট’। ছবিতে দেখানো হয়েছিল, সমাজ কীভাবে একজন ব্যক্তিকে ধর্ষক তৈরি করে। ‘দা রেপিস্ট’-এর পরিচালক এবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আর জি কর সরকারি হাসপাতালে মৃতা চিকিৎসকের দুর্ঘটনা রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে তাঁর। তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মহিলাদের সুরক্ষার দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পুলিশের বিরুদ্ধেও তদন্ত চেয়েছেন অপর্ণা।
নিবেদিতা অনলাইন ইউটিউব চ্যানেলকে পরিচালক-অভিনেত্রী অপর্ণা সেন বলেছেন:
“যে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটল, তা দেখেশুনে স্তব্ধ হয়ে যেতে হয়। এরপর সত্যিই আর কিছুই বলার থাকে না। কিন্তু তারপরও অনেক কিছু বলার থেকে যায়। অন্যান্য নাগরিকদের মতো আমারও প্রশ্ন, কেন মহিলাদের এরকম অরক্ষিতভাবে কাজ করে যেতে হবে সর্বত্র। কেন যথেষ্ট সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে না। এই অবহেলার দায় কি সরকার নেবে? সরকারকেই নিতে হবে। কেন না সরকারি হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। ছাত্রছাত্রীদের দাবির সঙ্গে আমি সর্বতোভাবে একমত। তাঁদের সম্পূর্ণ সমর্থন করছি। সরকার যেন অবিলম্বে এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করেন এবং দোষীকে দৃষ্টান্তমূলক কঠিন শাস্তি দিক। সেই সঙ্গে আরও একটা তদন্ত হওয়া উচিত–যেটা অতনু ভট্ট তাঁর দেওয়ালে (ফেসবুকে) লিখেছেন, তাঁর সঙ্গে আমি একমত পোষণ করে বলছি যে, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও একটা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমার প্রশ্ন–মৃতাকে ওরকম রক্তাক্ত অবস্থায় পেয়েও প্রথমে পুলিশ কেন বলল সেটা আত্মহত্যার ঘটনা। কীসের ভিত্তিতে এই ঘোষণা, সেটা জানান অধিকার আমাদের আছে। দ্বিতীয়ত, পুলিশ কেন মৃতার বাড়িতে ফোন করে বললেন এটা আত্মহত্যা? কার নির্দেশে এই ঘটনা ঘটল? তৃতীয়ত, পুলিশ কেন তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করতে ব্যস্ত হয়ে উঠল? যে হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটল, সেই হাসপাতালেই কেন ময়নাতদন্তের প্রস্তাব উঠল? এরকম অনেক প্রশ্ন আমাদের ভাবাচ্ছে। নাগরিক হিসেবে এই প্রশ্নের উত্তর জানার অধিকার আমাদের আছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, এই ঘটনার তদন্ত হোক। পুলিশের ভূমিকার তদন্ত হোক। মেয়েদের সুরক্ষার ব্যবস্থা হোক যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।”