নুসরত জাহান এবং যশ দাশগুপ্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট অ্যাক্টিভ এই দুই সহকর্মী। হ্যাঁ, সহকর্মী। আপাত পরিচয় তো এটাই। সেখান থেকে বন্ধুত্ব নাকি প্রেম, সে উত্তর তো তাঁরা দেবেন। তবে এই দুই শিল্পী গত কয়েকদিন ধরেই শিরোনামে। শিরোনামে তাঁদের সোশ্যাল পোস্টও।
সোমবার, সপ্তাহের শুরু। কাজের দিনে সানগ্লাস পরা নিজের হাসিমুখের একটি ছবি শেয়ার করলেন নুসরত। তাঁরা বার্তা, ‘লাফটার ইজ চিপার দ্যান থেরাপি’। পজিটিভ থাকার বার্তা। মন খারাপের ওষুধ হাসি। তা যে কোনও থেরাপির থেকে সস্তা, অভিনেত্রী তথা সাংসদ এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন বলে মনে করেন অনুরাগী।
অন্যদিকে যশের প্রোফাইলেও নতুন ছবি। সঙ্গে তাঁর পোষ্য কুকুর। যশের বহু নিঃসঙ্গ মুহূর্তে পোষ্যই যে বন্ধুর মতো পাশে থাকে, সে বার্তা দিয়েছেন তিনি।
নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্য দিকে, নুসরত দিন কয়েক আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।
যশের সঙ্গে নুসরতের বিশেষ সম্পর্কের কারণেই নাকি নিখিলের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যে ভাঙন ধরে, এ জল্পনাও বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়। যদিও তা নিয়ে মুখ খোলেননি নুসরত। এমনকি তাঁর সন্তানের বাবা কে, তা নিয়েও কাউকে কৈফিয়ৎ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেননি। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁকে নিয়ে বিতর্ক যত জটিল হয়েছে ইনস্টায় একের পর ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করে চলেছেন নুসরত।
আরও পড়ুন, আর্থিক দুরবস্থায় মুম্বই ছেড়ে দিল্লিতে ফিরে গেলেন ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর অভিনেতা