‘লভ বার্ডস’। আক্ষরিক অর্থেই ‘লভ বার্ডস’-এর ছবি দেখা গেল অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহানের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ছবি শেয়ার করেছেন নুসরত স্বয়ং!
‘লভ বার্ডস’ নামে যে ধরনের পাখি পরিচিত, তার ছবি শেয়ার করেছেন নুসরত। আসল পাখি নয়। পাখির ছবি। ঈদের দিন নুসরতের শেয়ার করা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেখা যাচ্ছে, রং-তুলি নিয়ে আঁকছেন তিনি। ছবি পিছন থেকে তোলা হয়েছে। সে কারণেই স্পষ্ট নয় নুসরতের মুখ। কিন্তু চশমা চোখে তিনিই যে রং-তুলি ধরেছেন, তা বুঝতে পেরেছেন অনুরাগীরা। এই ‘লভ বার্ডস’ তাঁরই আঁকা। তবে এ শুধুই আঁকা, নাকি এর মাধ্যমে পরোক্ষে কোনও বার্তা দিতে চাইলেন, তা স্পষ্ট নয়।
অন্তঃসত্ত্বা নুসরত এখন নিজের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। কখনও পছন্দের সিনেমা দেখছেন। কখনও উইকেন্ডে বাড়ির বাইরে বেড়াতে যাচ্ছেন। কখনও বা ওয়ার্ক কমিটমেন্টের খাতিরে ফটোশুটও সেরে নিচ্ছেন। এর মধ্যেই শখে ছবিও আঁকলেন। হবু মায়ের এতেই মন ভাল থাকছে।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নুসরত এই ছবিই শেয়ার করেছেন।
নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জৈন জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্য দিকে, নুসরত দিন কয়েক আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।
অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরতের বিশেষ সম্পর্কের কারণেই নাকি নিখিলের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যে ভাঙন ধরে, এ জল্পনাও বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়। যদিও তা নিয়ে মুখ খোলেননি নুসরত। এমনকি তাঁর সন্তানের বাবা কে, তা নিয়েও কাউকে কৈফিয়ৎ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেননি। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁকে নিয়ে বিতর্ক যত জটিল হয়েছে ইনস্টায় একের পর ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করে চলেছেন নুসরত। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হল না।
আরও পড়ুন, কিয়াকে ছেড়ে কর্ণাটকের হাম্পিতে কনীনিকা, নতুন কাজ?