‘জন্মভূমি’র ডাকসাইটে পিসিমাকে মনে পড়ে? ৯২ বছর বয়সি মিতা চট্টোপাধ্যায় কোন পরিস্থিতে আছেন জানেন?

Sneha Sengupta |

Jun 20, 2024 | 11:20 AM

Mita Chattopadhyay: ডিডি বাংলা চ্যানেলে সম্প্রচারিত 'জন্মভূমি' সিরিয়ালে ডাকসাইটে পিসিমার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মিতা চট্টোপাধ্যায়। এখন কোন পরিস্থিতিতে আছেন অভিনেত্রী? শরীর-মন ভাল আছে তো তাঁর? ৯২ বছর বয়সি মিতার খোঁজ নিল TV9 বাংলা ডিজিটাল।

জন্মভূমির ডাকসাইটে পিসিমাকে মনে পড়ে? ৯২ বছর বয়সি মিতা চট্টোপাধ্যায় কোন পরিস্থিতে আছেন জানেন?
মিতা চট্টোপাধ্যায়।

Follow Us

বাংলা বিনোদন জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম মিতা চট্টোপাধ্যায়। বাংলার স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী তিনি। থিয়েটার থেকে সিনেমা–সব ক্ষেত্রেই অগাধ বিচরণ তাঁর। বয়সের ভারে বাড়িতেই থাকছেন অধিকাংশ সময়। কিন্তু বার্ধক্য তাঁকে একবিন্দুও টলাতে পারেনি। ৯২ বছর বয়সে তাঁর অফুরান জীবনীশক্তি তরুণ-তরুণীদের নতুন করে বেঁচে থাকার সাহস জোগায়। অভিনেত্রীর নাম মিতা চট্টোপাধ্যায়। ডিডি বাংলা চ্যানেলে সঞ্চালিত কালজয়ী মেগা সিরিয়াল ‘জন্মভূমি’র পিসিমা তিনি। এখন কি করছেন জানেন?

টালিগঞ্জের মুর অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে থাকেন মিতা চট্টোপাধ্যায়। পরিবার থাকে সঙ্গে। মেয়ে-জামাই-নাতি-নাতনি নিয়ে ভরা সংসার তাঁর। ৯২ বছর বয়সে এসে এখন আর ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে চান না মিতা। তিনি শেষ অভিনয় করেছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘কিয়া অ্যান্ড কসমস’ ছবিতে। ‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকে তাঁকে শেষবার দেখেছিলেন ছোটপর্দার দর্শক। এখন মিতা সিংহভাগ সময় বাড়িতেই। তবে করেন কী? শরীর কেমন আছে তাঁর?

গতবছর টিভি নাইন বাংলার ‘ঘরের বায়োস্কপ’-এ এসেছিলেন মিতা চট্টোপাধ্যায়। শাড়ি পরে, কাঁধে আঁচল ফেলে গেট দিয়ে ঢোকার সময় তাঁর সহকর্মী অভিনেতা-অভিনেত্রীরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে চিৎকার করে ওঠেন তাঁকে দেখে। জড়িয়ে ধরেন মিতাকে। তখনই অনুভূত হয় মিতার ক্রেজ়। তাঁর অদম্য প্রাণশক্তি কতখানি স্পর্শ করে তাঁর অনুজদের। হলের মধ্যে ঢোকার সময় গায়ক রূপম ইসলামের গানের ছন্দে কোমর দুলিয়ে দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে নেচেছিলেন মিতা। বয়স তখন তাঁর ৯১।

এই খবরটিও পড়ুন

টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালের প্রতিবেদক যখন তাঁকে ‘ম্যাডাম’ সম্মোধন করে কথা বলতে শুরু করেন, মিতা তাঁকে থামিয়ে দিয়ে অত্যন্ত আন্তরিক কায়দায় বলেছিলেন, “আমাকে ম্যাডাম-ঠ্যাডাম বলিসনি। দিদা বলে ডাকবি। আমি সকলের দিদা। ওই ডাকটাই আমার সবচেয়ে কাছের মনে হয়।” সত্যি তিনি টলি-ইন্ডাস্ট্রির দিদা। সকলেই আদর করে ওই নামেই ডাকেন তাঁকে।

৯২ বছর বয়সে এসে নিজের বার্ধক্যকে কখনওই সামনে আনেন না মিতা। বলেন, “আমার বয়স যে ৯২, সেটা বারবার বলিসনি, আমি চাই না লোকে জানুক আমার টলমল অবস্থা। আমার বয়স ৯২ হয়েছে তো কী। আভি তো ম্যায় জওয়ান হু।” সত্যিই তিনি জওয়ান। নিয়মের মধ্যে আছেন বলে, শরীর এবং মন দুটোই তাঁর ফুরফুরে। ক্যামেরার সামনে সেভাবে আর না এসে দাঁড়ালেও, হাজাররকম কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন মিতাদেবী। তাঁর প্রিয় কাজ কবিতা লেখা, ছড়া লেখা, বই লেখা। তাই নিয়েই মেতে থাকেন সকাল থেকে রাত। অনেক ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন মিতা। নিয়ম করে খবরের কাগজ পড়েন খুঁটিয়ে। রাজ্য-দেশ-বিদেশের খবর তাঁর মুখস্থ। খাওয়া-দাওয়া নিয়মমাফিক চলে। ঈশ্বরে ভক্তি আছে বলে নিয়মিত পুজোটাও করেন। মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার, শনিবার এলেই তিনি ভীষণ ব্যস্ত। ঠাকুর ঘরেই এটা-সেটা করে বেলা গড়িয়ে যায় তাঁর। আর বাকি সময়টা কাটে লেখালেখি করে।

Next Article