Child Death: সরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর বন্ধ হয়ে মৃত্যু ৪ শিশুর

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Dec 05, 2022 | 6:48 PM

চার শিশু মৃত্যুর খবর পেয়ে দুপুরেই হেলিকপ্টারে অম্বিকাপুরে গর্ভণমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি.এস সিং দেও। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Child Death: সরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর বন্ধ হয়ে মৃত্যু ৪ শিশুর
প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

হঠাৎ করে হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিপর্যয় হয়ে যায়। আর তার জেরে ভেন্টিলেটর বন্ধ হয়ে গিয়ে মৃত্যু হল ৪ শিশুর। এমনই অভিযোগে সোমবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ছত্তিশগড়ের সুরগুজা জেলার এক সরকারি হাসপাতালে। যদিও ভেন্টিলেটর বন্ধ হয়নি বলে দাবি জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তার। তবে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ছত্তিশগড় সরকার। এদিন দুপুরে হাসপাতাল পরিদর্শনেও যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি.এস সিং দেও। গোটা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে রাজ্য সরকারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল অনুসুইয়া উইকি।

জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ের অম্বিকাপুরে গর্ভণমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (GMCH) এদিন ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে পরপর ৪ শিশুর মৃত্যু হয়। শিশুগুলি প্রত্যেকেই স্পেশাল নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট (SNCU)-এ চিকিৎসাধীন ছিল। এদের মধ্যে ২ জন আবার ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিল। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে ভেন্টিলেটর বন্ধ হয়ে গিয়েই শিশুগুলির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।

যদিও ভেন্টিলেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক কুন্দন কুমার। তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ভোররাত ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত অম্বিকাপুরে গর্ভণমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছিল। যদিও এই সময়টা খুবই কম ছিল। তবে এর কোনও প্রভাব SNCU-তে পড়েনি। বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে SNCU-তে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত ছিল এবং ভেন্টিলেটর বন্ধ হয়নি বলে দাবি কুন্দন কুমারের। ফলে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সঙ্গে ওই শিশুদের মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক নেই বলেও তাঁর দাবি। SNCU-তে ৩০-৩৫টি শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার মধ্যে ওই চার শিশুর মৃত্যু কী ভাবে হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাদের মেডিক্যাল রিপোর্ট শীঘ্রই প্রকাশিত করা হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

তবে চার শিশুর মৃত্যুর পরই হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান মৃত শিশুদের পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, আধঘণ্টা নয়, রাতে তিন ঘণ্টার বেশি সময় লোডশেডিং ছিল হাসপাতালে। ভেন্টিলেটরও বন্ধ ছিল। গোটা ঘটনায় হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। সবমিলিয়ে, উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। তারপর পুলিশ ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

তবে চার শিশু মৃত্যুর খবর পেয়ে দুপুরেই হেলিকপ্টারে অম্বিকাপুরে গর্ভণমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি.এস সিং দেও। তিনি হাসপাতাল চত্বর ঘুরে দেখেন। তারপর হাসপাতালে দাঁড়িয়েই স্বাস্থ্য সচিবকে অবিলম্বে চার শিশুর মৃত্যুর তদন্ত কমিটি গঠন করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে জানানো হয়েছে। শিশুদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হবে এবং হাসপাতালের কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।”

Next Article