Bihar Jivitputrika Festival: ‘জিতিয়া’ উৎসবে মৃত্যুর তাণ্ডব, সলিল সমাধি ৩৭ শিশু-সহ ৪৬ জনের

Sep 26, 2024 | 4:48 PM

Bihar Jivitputrika Festival: ‘জিতিয়া’ বা ‘জীবিতপুত্রিকা’ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিপর্যয় নেমে এল বিহার জুড়ে। যে ব্রত মায়েরা পালন করে থাকেন সন্তানের মঙ্গল কামনায়, সেই ব্রত পালন করতে গিয়েই মৃত্যু হল অন্তত ৩৭টি শিশুর। সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় বিহারের বিভিন্ন জায়গায় পৃথক-পৃথক ঘটনায় ওই ৩৭ শিশু-সহ মোট ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Bihar Jivitputrika Festival: জিতিয়া উৎসবে মৃত্যুর তাণ্ডব, সলিল সমাধি ৩৭ শিশু-সহ ৪৬ জনের
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: Getty Images

Follow Us

পটনা: ‘জিতিয়া’ বা ‘জীবিতপুত্রিকা’ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিপর্যয় নেমে এল বিহার জুড়ে। যে ব্রত মায়েরা পালন করে থাকেন সন্তানের মঙ্গল কামনায়, সেই ব্রত পালন করতে গিয়েই মৃত্যু হল অন্তত ৩৭টি শিশুর। সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় বিহারের বিভিন্ন জায়গায় পৃথক-পৃথক ঘটনায় ওই ৩৭ শিশু-সহ মোট ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের তালিকায় সাতজন মহিলাও আছেন। পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারন, ঔরঙ্গাবাদ, কাইমুর, বক্সার, সিওয়ান, রোহতাস, সরন, পটনা, বৈশালী, মুজাফ্ফরপুর, সমস্তিপুর, গোপালগঞ্জ, আরওয়াল – জেলা জেলায় উঠেছে কান্নার রোল। এই ঘটনার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। মৃতদের নিকটাত্মীয়দের ৪ লক্ষ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিহারের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন, “এখন পর্যন্ত ৪৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। নিহতদের স্বজনদের ৪ লাখ টাকা করে এক্স-গ্রাশিয়া দেওয়া হবে। আটজনকে ইতিমধ্যেই এই অর্থ দেওয়া হয়েছে।” এখনও নিখোঁজ যারা, তাদের দেহ অনুসন্ধান ও উদ্ধারে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স এবং স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের সহায়তা চেয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ।

প্রসঙ্গত, সন্তানদের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনায় মায়েরা এই ‘জিতিয়া’ বা ‘জীবিতপুত্রিকা’ ব্রত পালন করেন। তিন দিনের এই উৎসব আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তম থেকে নবম দিনের মধ্যে পালিত হয়। সন্তানদের মঙ্গল কামনায় মায়েরা উপবাস রাখেন। এদিন সন্তানদের নিয়ে বিহারের বিভিন্ন জলাশয়ে স্নান করতে গিয়েছিলেন মায়েরা। প্রবল বৃষ্টিতে এখন বিহারের প্রায় সকল নদীতেই জলের তীব্র স্রোত রয়েছে। সেই স্রোতেই ভেসে গিয়েছে শিশু ও অন্যান্যরা।

ঔরঙ্গাবাদ জেলায় মোট আটজন শিশু ডুবে গিয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীকান্ত শাস্ত্রী জানিয়েছেন, দেলার বিভিন্ন জলাশয়ে পবিত্র স্নান করতে গিয়েছিলেন বহু মানুষ। বিভিন্ন জায়গাতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কাইমুর জেলায় দুর্গাবতী নদী এবং একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়ে ডুবে গিয়েছে সাতজন নাবালক। বুধবার সন্ধ্যায় পটনার আমনাবাদ গ্রামে এবং সরন জেলার দাউদপুর, মাঞ্জি, তরাইয়া এবং মারহাউরা থানা এলাকায় দুই শিশুপুত্র-সহ পাঁচজনের ডুবে মৃত্যু হয়েছিল।

Next Article