কানাডা: করোনার (COVID-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লক্ষ ১২ হাজার ২৬২ জন। একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ৩৯৮০ জনের। আগামী দুই সপ্তাহে এই ছবিটা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে বলেই মনে করছে চিকিৎসকমহল। ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ। এগিয়ে এল কানাডাও। ভারতের এই বিপদ টলাতে একদিকে যেমন সচেতনতা প্রয়োজন, একইসঙ্গে দরকার পর্যাপ্ত ওষুধ, টিকা, অক্সিজেন, হাসপাতালের পরিকাঠামো। তাই ২৫,০০০ ভায়াল রেমডেসিভির পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে কানাডা। একইসঙ্গে সে দেশের ন্যাশনাল এমার্জেন্সি স্ট্র্যাটেজিক স্টকপাইল (NESS) ৩৫০ ভেন্টিলেটরও পাঠাচ্ছে।
প্রয়োজনীয় সামগ্রী-সহ রেমডেসিভিরের ভায়াল এবং ৫০টি ভেন্টিলেটর ইতিমধ্যেই পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানে তা রওনাও হয়ে গিয়েছে সে দেশ থেকে। কানাডার বিদেশমন্ত্রী মার্ক গার্নাউয়ের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কানাডা সবসময় ভারতের মানুষের সহযোগিতায় পাশে রয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমরা কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই করব। গোটা বিশ্বের কাছে এই ভাইরাস একটা হুমকি। সকলে মিলেই তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কোভিডের দ্বিতীয় সার্জে ভারতের ছবিটা ভয়াবহ। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের নিরিখে ভারতেই প্রায় আক্রান্ত অর্ধেক। মৃত্যুতেও বিশ্বের এক চতুর্থাংশ ভারতেই। হাসপাতালে বেড যেমন অমিল, তেমনই অক্সিজেনের অভাবেও মরতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। এমনও দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে বেড না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সে লড়াই করতে করতে শেষ নিঃশ্বাস ফেলছেন করোনা সংক্রমিত। লাশকাটা ঘর, শ্মশানগুলিতে মৃতদেহের পাহাড় জমছে।
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছিলেন, কানাডিয়ান রেড ক্রসের মাধ্যমে ১০ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হচ্ছে। যাতে ভারতে আরও বেশি করে অ্যাম্বুলেন্স ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারে। সে দেশের সরকার ১,৪৫০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর সরবরাহ করেছে। ওন্টারিও ও স্যাসকেচুয়েন থেকে পাঠানো হচ্ছে ভেন্টিলেটর।