Dowry System: কুৎসিত মেয়েদের বিবাহের জন্য উপযুক্ত পণপ্রথা! পাঠ্য বইয়ের লেখা নিয়ে নেটপাড়ায় হইচই

Dowry System: সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে বইয়ের একটি পাতার ছবি ভাইরাল হয়েছে। ওই বইয়ের পাতাতে পণ প্রথার সুবিধা ও গুণাগুণ সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া রয়েছে।

Dowry System: কুৎসিত মেয়েদের বিবাহের জন্য উপযুক্ত পণপ্রথা! পাঠ্য বইয়ের লেখা নিয়ে নেটপাড়ায় হইচই
ছবি- প্রতীকী চিত্র

| Edited By: অরিজিৎ দে

Apr 04, 2022 | 5:50 PM

নয়া দিল্লি: প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সমাজের অগ্রগতি হচ্ছে ঠিকই, তবে এখনও ভারতীয় সমাজের একটা বড় অংশ সামাজিক অভিশাপগুলি থেকে এখনও বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তাই অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে প্রাচীন বর্বরোচিত প্রথা গুলি আমাদের সমাজ জীবন থেকে চিরতরে মুছে যায়নি। তাই সমাজের একটা বড় অংশ মেয়েদের এখনও পণ্য বলে মনে করে, এখনও দেশের অনেক জায়গায় পণ প্রথার অভ্যেস নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। অনেকেই বলতেন, পণপ্রথার (Dowry System) মতো অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্ত করতে শিক্ষার প্রয়োজন। শিক্ষা শুধু মানুষের ভবিষ্যতকেই সুরক্ষিত করে না বরং সামাজিক অবক্ষয় রোধেও অনেকটাই কার্যকরী। কিন্তু এবার পাঠ্য বইয়ের একটা বড় অংশ প্রশ্ন তুলে দিল যে, আদৌ বই পড়ে সবটা শেখা সম্ভব?

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে বইয়ের একটি পাতার ছবি ভাইরাল হয়েছে। ওই বইয়ের পাতাতে পণ প্রথার সুবিধা ও গুণাগুণ সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া রয়েছে। বইয়ের পাতার ওই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়াতে হইচই ফেলে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই পৃষ্ঠাটি নার্সদের জন্য টি কে ইন্দ্রানীর লেখা সোশিওলজি বইয়ের একটি অংশ। ‘পণ প্রথার সুবিধা’ শীর্ষক একটি অনুচ্ছেদে যাবতীয় বিবরণ দেওয়া রয়েছে। জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলের সিলেবাস অনুযায়ী ওই বইটি লেখা হয়েছে। এই বই পড়ে পড়ুয়ারা কী শিখবে সেই বিষয়েও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।

শিবসেনা নেত্র্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ওই বইয়ের পৃষ্ঠার ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে দেশের শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ট্যাগ করেছেন। প্রিয়াঙ্কার দাবি এই পাঠ্য বইয়ে লেখা এই ধরনের বিষয় নিতান্তই লজ্জার এবং অবিলম্বে পাঠ্য বই থেকে এই অংশ বাদ দেওয়া উচিৎ। বইয়ে লেখা রয়েছে, ‘পণ প্রথার মাধ্যমে আদায় করা আসবাব, ফ্রিজ ও অন্যান্য জিনিস নতুন করে বাড়ি সাজাতে সাহায্য করে।’ যেখানে পাত্রীপক্ষের থেকে পর্যাপ্ত পণ না পাওয়ার অভিযোগে বিয়ের পর মেয়েদের অত্যাচারিত হওয়ার বিস্তর অভাব অভিযোগ ওঠে, সেখানে পাঠ্য পুস্তকে এই ধরনের লেখা দেখে হতবাক অনেকেই। বইয়ের আরও একটি বিতর্কিত কথা লেখা রয়েছে। ওই বইয়ে লেখক লিখেছেন, ‘কুৎসিত মেয়েদের বিয়ে দিতেও পণপ্রথা সাহায্য করে।’ নেটিজেনরাও অবিলম্বে এই বই প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন Kiran Rijiju on CBI: ‘সিবিআই আর খাঁচাবন্দি তোতাপাখি নেই’, প্রধান বিচারপতির মন্তব্য টেনেই জবাব আইনমন্ত্রীর