Delhi Police: দিল্লিতে হত্যা রহস্যের সমাধান করল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা! কীভাবে জানেন?

Jan 25, 2024 | 9:53 AM

AI solve murder mystery: এই ঘটনার সূত্রপাত হয় ১০ জানুয়ারি। ওই দিন, পূর্ব দিল্লির গীতা কলোনি ফ্লাইওভারের নীচ থেকে এক যুবকের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। এআই-এর ব্যবহার পুলিশকে যেমন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সাহায্য করেছে, তেমনই হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতেও সাহায্য করেছে। কীভাবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক এই হত্যা রহস্যের 'হাইটেক' সমাধান কীভাবে হল।

Delhi Police: দিল্লিতে হত্যা রহস্যের সমাধান করল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা! কীভাবে জানেন?
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

নয়া দিল্লি: ক্রমশ আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। এবার দিল্লিতে এক হত্যা রহস্যের সমাধানে, দিল্লি পুলিশকে সাহায্য করল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এআই-এর ব্যবহার পুলিশকে যেমন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সাহায্য করেছে, তেমনই হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতেও সাহায্য করেছে। কীভাবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক এই হত্যা রহস্যের ‘হাইটেক’ সমাধান কীভাবে হল।

এই ঘটনার সূত্রপাত হয় ১০ জানুয়ারি। ওই দিন, পূর্ব দিল্লির গীতা কলোনি ফ্লাইওভারের নীচ থেকে এক যুবকের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। পোস্টমর্টেমে জানা যায়, তাঁকে শ্বাসরোধ করে হতযা করা হয়েছে। কিন্তু মৃতদেহটি শনাক্তই করতে পারছিল না পুলিশ। তাঁর মুখ এমন ভাবে বিকৃত হয়ে গিয়েছিল, যে প্রচলিত উপায়ে সহজে তাঁকে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না। শরীরে বা তার আশেপাশে কোনও শনাক্তকরণ চিহ্নও ছিল না। ফলে দেহটি কার, সেই উত্তর পাওয়াই পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ খাঁড়া করেছিল।

আর কোনও উপায় না পেয়ে, এই মামলার সমাধানের জন্য দিল্লি পুলিশ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দিকে ঝোঁকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে মৃত ব্যক্তির মুখ পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। বলা যেতে পারে, ডিজিটাল উপায়ে তাঁকে মৃত অবস্থা থেকে পুনর্জীবিত করে তোলে। এরপর, সেই মুখের প্রায় ৫০০টি পোস্টার তৈরি করে পুলিশ। পোস্টারগুলিতে নিহত ব্যক্তির মুখ তো ছিলই, সেই সঙ্গে ডিজিটাল উপায়ে সেই মুখকে ভিন্ন ভিন্ন পটভূমিতে স্থাপন করা হয়। এরপর পোস্টারগুলি দিল্লি শহরের বিভিন্ন গুরুক্বপূর্ণ অংশে লাগানো হয়েছিল। সেই সহ্গে বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো হয় ওই পোস্টারগুলির ডিজিটাল সংস্করণ।

তাতেই আসে সাফল্য। দিল্লির এক থানার বাইরে লাগানো পোস্টার দেখে পুলিশকে ফোন করেন এক ব্যক্তি। তিনি জানান, পোস্টারের ওই ব্যক্তি তাঁর দাদা, হিতেন্দ্র। এরপর, পুলিশের কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, তিন ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল হিতেন্দ্র। তাদের মধ্যে তীব্র ঝগড়াঝাটি হয়েছিল। আর তারপরই ওই তিন ব্যক্তি হিতেন্দ্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল। প্রমাণ লোপাট করতে তারা এক মহিলারও সাহায্য নিয়েছিল। এই নতুন পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ওই মহিলা-সহ চারজনকেই গ্রেফতার করেছে।

Next Article