Tibet: মোদীর প্রতিশোধ! তৈরি তালিকা, সরকার গঠন হলেই চিন-শাসিত তিব্বতে বড় পদক্ষেপ

Jun 09, 2024 | 3:09 PM

India to rename places in Tibet: নয়া দিল্লিতে চলছে তৃতীয় মোদী সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি। এরই মধ্যে তলে তলে চিনকে যোগ্য জবাব দিতে তৈরি হচ্ছে ভারত। সরকার গঠনের পরই চিনের দখলে থাকা তিব্বত নিয়ে বড় পদক্ষেপ করতে পারে সরকার। কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে 'তথ্য যুদ্ধ বিভাগ'।

Tibet: মোদীর প্রতিশোধ! তৈরি তালিকা, সরকার গঠন হলেই চিন-শাসিত তিব্বতে বড় পদক্ষেপ
তিব্বত নিয়ে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে তৃতীয় মোদী সরকার
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

নয়া দিল্লি: গত কয়েক বছরে, অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন জায়গার নাম বারবার বদলেছে চিন। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে চিনের এই নাম বদলানোর প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, “অন্য বদলালেই তো আর কোনও জায়গা কোনও দেশের দখলে চলে যায় না।” তবে, এবার আর মুখে জবাব নয়, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় রাস্তা হাঁটছে ভারত সরকার। নয়া দিল্লিতে যখন তৃতীয় মোদী সরকার গঠনের প্রস্তুতি চলছে, একই সময়ে চিনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের দুই ডজনেরও বেশি জায়গার নাম পরিবর্তন করতে চলেছে ভারত সরকার। প্রসঙ্গত, চিন এই অঞ্চলটিকে বলে ‘জাংনান’ বা ‘দক্ষিণ তিব্বত’। ভারতীয় সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘দ্য ডিপলোম্যাট’ পোর্টাল।

‘দ্য ডিপলোম্যাট’ পোর্টালের প্রতিবেদনে চিনের করায়ত্ব দক্ষিণ তিব্বতের বেশ কয়েকটি জায়গার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই জায়গাগুলিরই নতুন নাম ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের পরপরই এই তিব্বতের এই নতুন নামগুলি ঘোষণা করা হতে পারে। নাম পরিবর্তনের এই বিষয়টি দেখছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘তথ্য যুদ্ধ বিভাগ’। সূত্রের খর, অরুণাচল প্রদেশের যে জায়গাগুলির নাম বদলানোর চেষ্টা করেছে চিন, সেই নামগুলি অবৈধ প্রমাণ করার জন্য কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির মতো প্রতিষ্ঠানগুলির সহযোগিতায় ব্যাপক ঐতিহাসিক গবেষণা চালিয়েছে তথ্য যুদ্ধ বিভাগ। এই অঞ্চলগুলি যে ভারতের, তার সমর্থনে ঐতিহাসিক প্রমাণ জোগার করেছে তারা।

তিব্বতের ৩০টিরও বেশি জায়গার একটি তালিকা তৈরি করেছে সামরিক বাহিনী। এই জায়গাগুলিরই নাম পরিবর্তন করা হবে বলে প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে। প্রাচীনকালে এই জায়গাগুলির ভারতীয় ভাষায় যে নাম ছিল, ঐতিহাসিক নথি ঘেঁটে তা বের করা হয়েছে। সূত্রের মতে, তিব্বতের পরিবর্তিত নামের এই জায়গাগুলির তালিকাটি শীঘ্রই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। একে কেন্দ্র করে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক প্রচার চালানো হবে।

সেনাবাহিনি বলছে, প্রমাণের ভিত্তিতে এই স্থানগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্বকে পুনরুদ্ধার করা এবং স্বীকৃতি দেওয়াই তাদের এই উদ্যোগের লক্ষ্য। তবে এই পদক্ষেপ যে, অরুণাচলের নাম পরিবর্তনের চিনা প্রয়াসের প্রতিশোধ, তা বলাই বাহুল্য। অরুণাচল প্রদেশ এবং চিন সীমান্তের অন্যান্য বিরোধের অঞ্চলগুলি নিয়ে বেজিংয়ের দাবির পাল্টা অখ্যান তৈরি করতে চাইছে নয়া দিল্লি। তবে কুটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিশোধমূলক প্রতিক্রিয়ার বাইরেও ভারতের এই দক্ষেপের বড় প্রভাব পড়তে পারে। নয়া দিল্লির এই পদক্ষেপে ফের তিব্বত নিয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে।

বেজিং জোর করে তিব্বত দখলের পর, নয়া দিল্লি একদিকে তিব্বতকে চিনের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, আবার অন্যদিকে দলাই লামাকেও আশ্রয় দিয়েছে। চিনের আগ্রাসী পদক্ষেপের মোকাবিলায়, মোদী সরকার তিব্বত অবস্থান বদলাতে চায় বলে শোনা যাচ্ছে। তিব্বতের নাম বদলের ভারতীয় চেষ্টা, সীমান্ত এলাকায় চিন-ভারতের বিরোধ আরও বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Next Article