কাঠমান্ডু: নেপালের নদীতে ছিটকে পড়ল ভারতের বাস। শুক্রবার সকাল সকাল এল মর্মান্তিক দুঃসংবাদ। নেপালের তানাহুন জেলায় মারস্যাংদি নদীতে পড়ে যায় বাসটি। উত্তর প্রদেশ থেকে ৪০ জন যাত্রী নিয়ে আসছিল বাসটি। পোখারা থেকে যাচ্ছিল কাঠমান্ডুর দিকে। রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, নদীতে পড়ে যায় বাসটি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, আহত আরও ১৬ জন। তানাহুন জেলার ডিএসপি, দীপকুমার রায় জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি মারস্যাংদি নদীর তীরেই পড়ে রয়েছে। অন্তত ১০ জন যাত্রীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বাসের ৪০ জন যাত্রীই ভারতীয় পর্যটক।
নেপাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং স্কুলের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ, মাধব পাউডেলের নেতৃত্বে ৪৫ জন সশস্ত্র পুলিশ কর্মীদের একটি দল ইতিমধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং উদ্ধার অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বর্ষায় উত্তাল নদীর তীরে উল্টে পড়ে আছে বাসটি। তার একটু পাস দিয়ে একের পর এক রবারের ডিঙি নিয়ে নদীতে উদ্ধারকাজে নামছেন উদ্ধারকারীরা। এদিকে, উত্তর প্রদেশের ত্রাণ কমিশনার জানিয়েছেন, নেপালে দুর্ঘটনার মুখে পড়া বাসটিতে রাজ্যের কেউ ছিলেন কিনা, তা জানতে নেপালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
গত দুই মাসে নেপালের বিভিন্ন স্থানে অবিরাম বর্ষণ এবং ধস ও বন্যায় প্রায় ২০০ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে এবং ৫০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মাসে, ধসের জেরে মধ্য নেপালের ত্রিশূলী নদীতে ভেসে গিয়েছিল দুটি যাত্রীবাহী বাস। ৭ ভারতীয়-সহ বাসদুটিতে ৬৫ জন যাত্রী ছিলেন। পরে ৫ ভারতীয়র লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়েও এখনও পর্যন্ত ওই বাস দুটির কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। ভেসে যাওয়া বেশ কয়েকজন যাত্রীরও সন্ধান পাওয়া যায়নি। ১২ অগস্ট পর্যন্ত, অনুসন্ধানকারী দল নারায়ণী নদীর তীর এবং ত্রিবেণী বাঁধ এলাকায় ২৫টি মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে জায়গাটি ১০৩ কিলোমিটার দূরে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)