লাহোর: ভারত বিরোধী কার্যকলাপ ও এবং সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক (India-Pakistan Relation) অনেক দিন ধরেই নানা সমস্যার মুখোমুখি। বেশ কিছুদিন ধরেই ভারত পাকিস্তান ব্যবসা বন্ধ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) বাণিজ্য উপদেষ্টা আব্দুল রজাক দাউদ ভারতের সঙ্গে পুনরায় বাণিজ্য শুরু করার পক্ষে জোরাল সওয়াল করেছেন। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ তকমা প্রত্যাহারের পর থেকেই ভারত পাকিস্তান বাণিজ্যিক সম্পর্কে দাঁড়ি পড়েছে। দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেই কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদী সরকার। এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছিল ইসলামাবাদ। দাউদ জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পুনরায় বাণিজ্য শুরু হওয়া উচিৎ কারণ এর ফলে দুই দেশই লাভবান হবেন। পাকিস্তানের এক বিখ্যাত সংবাদপত্রে এমন খবরই প্রকাশিত হয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রীর বস্ত্র, শিল্প, উৎপাদন ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাণিজ্য মন্ত্রকের মতে এই মুহূর্তে ভারতে সঙ্গে ব্যবসা শুরু হওয়া উচিৎ। এবং আমার মনে হয় আমাদের দুই দেশের মধ্যে আবার ব্যবসা শুরু হওয়া উচিৎ। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু হলে পাকিস্তান বিশেষভাবে লাভবান হবে। আমার সমর্থন রয়েছে।”
বাণিজ্যিক উপদেষ্টার এই মন্তব্যের পর নতুন করে দুই প্রতিবেশি দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আশার আলো দেখা দিয়েছে। ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট জম্মু কাশ্মীর থেকে বিশেষ তকমা প্রত্যাহার হওয়ার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইমরান খান প্রশাসন। ২০২১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক কমিটি ভারত থেকে চিনি ও তুলা আমদানি করার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা না করেই বাণিজ্য মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পাক প্রশাসনের অন্দরে ক্ষোভেপ আগুন দেখা দেওয়ার কারণে দ্রুত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে বাণিজ্য মন্ত্রক।
কাশ্মীর ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ সমস্যা। কাশ্মীরের একটা অংশ এখনও বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। পাশাপাশি কাশ্মীরের নানা নাশকতামূলক কার্যকলাপ এবং বেআইনিভাবে জঙ্গি অনুপ্রবেশের মাধ্যমে ভারতের সমস্যা বৃদ্ধি করায় পাকিস্তানের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে। জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ ও কাশ্মীরের উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। এরপর থেকেই বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পাকিস্তান। ভারত বরাবরই জানিয়েছিল পাকিস্তানের প্ররোচনা সত্ত্বেও অন্যান্য প্রতিবেশিদের মত পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চায়। এখন পাকিস্তানের বাণিজ্য উপদেষ্টার এই মন্তব্যের পর ভারতের দিক থেকে কোনও ইতিবাচক বার্তা আসা কিনা সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন : Karnataka Hijab Row: হিজাব বিতর্কে নয়া মোড়, উল্টো পথে হেঁটে ইউনিফর্মের নিয়মই বাতিল করল কলেজ!