লখনউ: কয়েকদিন ধরেই চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। কারোর সঙ্গে বিশেষ কথাবার্তা বলছিল না বছর আঠাশের ডাক্তারি পড়ুয়া। শনিবাপ প্রায় সারাদিনই বেপাত্তা ছিল যুবক। শেষ পর্যন্ত বন্ধ গাড়ির ভিতর থেকে রহস্যজনক অবস্থায় উদ্ধার হল ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওই ডাক্তারি পড়ুয়া হয়তো আত্মহত্যা করেছে। নিজের শরীরে বিষাক্ত কোনও বস্তু ইঞ্জেকশন দিয়ে প্রবেশ করিয়েছিল।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে। মোতি নেহরু মেডিক্য়াল কলেজের সার্জারি বিভাগের স্নাতকোত্তর পড়ুয়া ছিল কার্তিকেয় শ্রীবাস্তব। আদতে উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা ওই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালের তরফেই পুলিশে প্রথম খবর দেওয়া হয়। জানানো হয়, এক পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ এসে একটি বন্ধ গাড়ির ভিতর থেকে ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে। গাড়ির ভিতর থেকে দুটি ফাঁকা ভাইল ও একটি সিরিঞ্জ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নিজের শরীরে বিষাক্ত কিছু ইনজেক্ট করে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরেই ওই চিকিৎসক পড়ুয়া অবসাদে ভুগছিল। সেই কারণেই আত্মহত্যা করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরজি কর ঘটনার আবহে চিকিৎসক-পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু আরও সন্দেহ বাড়িয়েছে।