‘অভি নেহি তো কভি নেহি’, ট্রাক্টর মিছিলে যোগদানের উদ্দেশ্যে প্রচার গুরুদ্বারগুলিতে

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Jan 13, 2021 | 2:17 PM

বিভিন্ন সম্প্রদায়ের তরফে জানানো হয়েছে, যেসমস্ত কৃষকরা আন্দোলনে নিজেদের ট্রাক্টর পাঠাতে পারবেন না, তাঁদের জরিমানা দিতে হবে। আন্দোলনে অংশ না নিলে বা তার বদলে জরিমানা না দিলে সামাজিক বয়কটের মুখে পড়তে হবে তাঁদের।

অভি নেহি তো কভি নেহি, ট্রাক্টর মিছিলে যোগদানের উদ্দেশ্যে প্রচার গুরুদ্বারগুলিতে
কনকনে ঠান্ডায় খালি গায়ে প্রতিবাদ করছেন কৃষকরা। ছবি:ANI

Follow Us

চন্ডীগঢ়: জোরকদমে চলছে প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) প্রস্তুতি। তবে কেবল কেন্দ্রই নয়, প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরাও, কারণ সেদিনই রাজধানী জুড়ে ট্রাক্টর মিছিলের (Tractor March) পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। ইতিমধ্যেই পঞ্জাবের অমৃতসর (Amritsar) থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে ট্রাক্টর নিয়ে রওনা দিয়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। তাঁদের মন্ত্র একটাই “অবি নেহি তো কভি নেহি”।

প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নিতে গতকালই কৃষাণ সংঘর্ষ কমিটির অন্তর্গত কয়েক হাজার কৃষক ট্রাক্টর ও ট্রলি নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। আগামি ২০ জানুয়ারির মধ্যে দিল্লি পৌঁছনোই লক্ষ্য তাঁদের। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের তরফে জানানো হয়েছে, যেসমস্ত কৃষকরা আন্দোলনে নিজেদের ট্রাক্টর পাঠাতে পারবেন না, তাঁদের জরিমানা দিতে হবে। আন্দোলনে অংশ না নিলে বা তার বদলে জরিমানা না দিলে সামাজিক বয়কটের মুখে পড়তে হবে তাঁদের।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের উৎসাহ জোগাতে স্থানীয় গুরুদ্বার (Gurudwara)-গুলি থেকে মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে, “যদি আমরা আজ না যাই, তবে কোনওদিন এই সুযোগ পাব না। এটা আমাদের অধিকারের লড়াই।” একইসঙ্গে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শনে লোহরি (Lohri) উৎসবেও কৃষি আইন (Farm Laws)-র কপি পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাঙ্গুর জেলার ভুলার হেরি গ্রামের কৃষকরা। এই বিষয়ে এক কৃষক বলেন, “লোহরির দিন আমরা সকলে সিংঘু সীমান্তে বিকেল পাঁচটা নাগাদ একত্রিত হব এবং লহরির আগুনে কৃষি আইনের কপি পোড়াবো।”

আরও পড়ুন: ‘ভাঙনের কোনও সম্ভাবনা নেই’,শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মত খট্টরের

ভুলার হেরি গ্রামের তরফে জানানো হয়, আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ১০০টি ট্রাক্টর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং প্রস্তুতিও পুরোদমে চলছে। স্থানীয় একটি গুরুদ্বারে বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে, কৃষকদের দিল্লির প্যারেডে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে রাস্তার ধারেও প্রচার চালানো হবে। যাঁরা আন্দোলনে অংশ নিতে পারবেন না, তাঁদের মাথাপিছু ২১০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। সেই টাকা আন্দোলনকারী কৃষকদের তহবিলে জমা করা হবে।

এক কৃষক বলেন, “বর্তমানে টাকা ছাড়া যুদ্ধ জেতা যায় না। আর এই যুদ্ধ আমাদের জিততেই হবে। আন্দোলনকারীদের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জোগান দিতে বিদেশ থেকেও আমাদের আর্থিক সাহায্য পাঠানো হয়েছে। এই গ্রাম থেকেই যাঁরা বাইরে গিয়েছেন, তাঁরা এখনও অবধি ৪১ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন।”

আরও পড়ুন: সন্তানদের সামনেই স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে খুন, পাশের ঘরে গিয়ে বিষ খেলেন অভিযুক্ত

Next Article