চণ্ডীগঢ়: ঘণ্টার পর ঘণ্টা দফতরে বসিয়ে রাখা, একটানা জেরা। ইডির তলবে এই চিত্রটা চেনা। শুধু এই রাজ্যেই নয়, দেশের প্রায় সর্বত্রই ইডির জেরা এমনই হয়। এবার ইডির এই জেরার পদ্ধতি নিয়েই আদালতে প্রশ্ন। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-কে তুলোধনা পঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টের। আর্থিক তছরুপ মামলায় কংগ্রেস বিধায়ককে একটানা ১৪ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে জেরা করা নিয়েই ধমক আদালতের।
আর্থিক তছরুপের অভিযোগে কংগ্রেস নেতা সুরেন্দর পানওয়ারোর গ্রেফতারি মামলায় বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তুলোধরা করে পঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্ট। কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারি খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মহাবীর সিং সিন্ধু ইডির তদন্ত পদ্ধতির সমালোচনা করে বলেন, “একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে জেরা করা কোনও হিরোর মতো কাজ নয়, বরং এটা মানুষের মর্যাদার বিরুদ্ধে।”
আদালতের তরফে ইডি আধিকারিকদের তদন্তের সময় সংবেদনশীলতা এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় যৌক্তিক সময়সীমা অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ১৯ জুলাই ইডির তলবে গুরুগ্রামের জোনাল অফিসে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা। সকাল ১১ টা থেকে রাত ১ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত জেরা করে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার এই আচরণেরই সমালোচনা করে হাইকোর্ট বলে, “একদিনেই দীর্ঘক্ষণ ধরে জেরায় অযথা হয়রানি না করে, স্বচ্ছ তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উচিত ইউনাইটেড নেশনস অর্গানাইজেশনের মানবাধিকার নিয়ম অনুসরণ করে ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত। সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী ইডি তাদের আধিকারিকদের কোনও মামলার তদন্তে অভিযুক্তদের জেরার সময়ে সংবেদনশীলতার পাঠ দেবে।”