নয়া দিল্লি: নিট পরীক্ষা নিয়ে দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যে, এই বিষয়ে সরাসরি মোদী সরকারকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার (২০ জুন), তিনি দাবি করেছেন, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বিজেপি এবং আরএসএস ‘হাইজ্যাক’ করে নিয়েছে। যতদিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এইভাবে বন্দি থাকবে, ততদিন দেশে প্রশ্নপত্র ফাঁস চলতেই থাকবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসকে তিনি ‘দেশবিরোধী কার্যকলাপ’ বলেছেন। কারণ এতে, দেশের যারা ভবিষ্যত, সেই তরুণরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
এদিন নয়া দিল্লিতে, এআইসিসি-র সদর দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে গান্ধী বলেন, “ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার সময়, প্রচুর শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছিল, ভারতে প্রতিনিয়ত প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। আপনারা সবাই জানেন, NEET এবং UGC-NET-এর প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। একটি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বলা হচ্ছিল, নরেন্দ্র মোদীজি নাকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করেছেন। ইসরাইল ও গাজা যুদ্ধের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা হচ্ছিল। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক, দেশে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করতে পারেন না নরেন্দ্র মোদী। এতে হার হল ছাত্রছাত্রীদেরই। তারা মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে খাটে। আর তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করা হচ্ছে। মধ্য প্রদেশে, ব্যাপম কেলেঙ্কারি ঘটেছিল এবং ভারত জুড়ে একই কাজ চলছে। আমি আগেই প্রাতিষ্ঠানিক ছিনতাইয়ের কথা বলেছিলাম, এখনও সেটাই করা হচ্ছে। আরএসএস প্রতিষ্ঠানগুলো দখল করেছে। নরেন্দ্র মোদীজির সহায়তায় এই দখলদারি করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আপনারা একটি পরীক্ষা বাতিল করেছেন। আমরা জানি না অন্যটি বাতিল হবে কি না।”
রাহুল গান্ধী আরও জানিয়েছেন, আসন্ন সংসদ অধিবেশনে এই বিষয়টি তুলবে বিরোধীরা। রাহুল বলেন, “মেধার ভিত্তিতে চাকরি না দিয়ে, রাজনৈতিক আদর্শের ভিত্তিতে চাকরি দেওয়াটাই এই কেলেঙ্কারির সবথেকে বড় কারণ। বিজেপি এবং তার মূল সংগঠন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বন্দি করেছে। আমাদের সব প্রতিষ্ঠানগুলিকে দখল করা হয়েছে। সহ-উপাচার্যদের একটি বিশেষ সংস্থার সঙ্গে তাদের সংযোগের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হচ্ছে।” সেই সঙ্গে, নিট পরীক্ষায় নিয়ে ওঠা অভিযোগগুলির পিছনে যারা আছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রাহুল। প্রসঙ্গত, NEET-UG বিতর্ক নিয়ে, শুক্রবার, দেশব্যাপী আন্দোলনের ঘোষণা করেছে। ‘ছাত্রছাত্রীদের ন্যায়বিচারের দাবিতে’, সমস্ত রাজ্য শাখাগুলিকে নিজ নিজ রাজ্যে বিক্ষোভ প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।