কলকাতা: চোরাকারবারিদের ঠেকিয়ে বড় সাফল্য বিএসএফের। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সুন্দরবন এলাকা থেকে বাজেয়াপ্ত ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকার প্রায় ৭০ কেজি বার্মিজ সুপারি। গ্রেফতার ২৭ জন বাংলাদেশি। আটক করা হয়েছে দুটি বাংলাদেশি ট্রলারকেও। জল-সীমান্ত পার করে এই বহুমূল্য সুপারিগুলিকে পাচারের ছক কষা হচ্ছিল বলে খবর। বিএসএফ সূত্রে খবর, ২৮ জানুয়ারি শামশেরনগর থেকে গোপনে একটি খবর আসে গোয়েন্দাদের কাছে। কিছু বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে একটি ট্রলারকে এলাকায় সন্দেহজনকভাবে চলাচল দেখা যাচ্ছে বলে জানা যায়। তারপরই অভিযানে নামে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
জলে নামে বিএসএফের স্পিড বোড। ধাওয়া করে ধরা হয় দুটি ট্রলারকে। তাতেই মেলে সাফল্য। পালানোর চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত বিএসএফের জালে ধরা পড়ে ট্রলার দু’টি। তল্লাশির শুরুতেই ট্রলারগুলির অবস্থা দেখে চোখ কপালে উঠে যায় বিএসএফ জওয়ানদের। দেখা যায় ট্রলারে সাজানো রয়েছে কেজি কেজি বহু মূল্য সুপারি। ট্রলারে থাকা বাংলাদেশিদের কাছ থেকে এর আইনি নথি চাওয়া হলেও তাঁরা তা দিতে পারেননি। এরপরই বাজেয়াপ্ত করা হয় ১১৫২ বস্তা সুপারি। আটক করা হয় ট্রলার দু’টিকেও।
জিজ্ঞাসাবাদে পাচারের কথা স্বীকার করে নিয়েছে চোরাকারবারিরা। দলেই ছিলেন মহম্মদ আবদুল্লাহ শেখ। তিনি জানাচ্ছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ট্রলারের চালক হিসাবে কাজ করছেন। গত ২৭ জানুয়ারি তাঁকে এই সুপারি পাচারের কাজ দেওয়া হয়েছিল। ২০ হাজারের বিনিময়ে তিনি এই কাজ করতে রাজি হয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই তিনি বেশ কয়েকজনের নামও বলেছেন। অন্যদিকে তাঁকে ছাড়াও পাচার দলে থাকা বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন তথ্য হাতে পেতে চাইছে বিএসএফ।