রাহুল সাঁধুখার রিপোর্ট…
কলকাতা: কলরব যেন থামছেই না। দিন যত যাচ্ছে প্রতিবাদের স্বর যেন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। যেদিকেই কান পাতা যায় সেদিকেই শুধু একটাই আওয়াজ, ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’। আর নয় ‘Want’, এবার ‘Demand’। প্রতিবাদীরা বলছেন, অনেক হয়েছে, আর নয়! ‘ওই ডিমান্ড জাস্টিস’। অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য ভবন, অবরুদ্ধ লালবাজার। পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি তো সেই কবেই উঠেছিল। এরইমধ্যে আবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর মানুষের স্বার্থের পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে ৫ দফা দাবি নিয়ে এখনও স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অনড় অবস্থানে ‘জুনিয়ররা’। নৈতিক সমর্থন জানিয়ে পথে নামছেন, আওয়াজ তুলছেন ‘সিনিয়ররাও’। কিন্তু, জট যে কাটছেই না! আর কতদিন চলবে আন্দোলন? পরবর্তী পদক্ষেপই বা কী হবে? উত্তর খুঁজতে একেবারে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে গ্রাউন্ড জিরোতে পৌঁছে গিয়েছিল টিভি-৯ বাংলা।
মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় স্বভাবতই হতাশ আন্দোলনকারীরা। এদিকে অনেক আগেই পার হয়েছে হয়েছে সুপ্রিম ‘ডেডলাইন’। গত মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ ছিল। কিন্তু, কাজে ফেরেননি আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। আগামী মঙ্গলে আবার শীর্ষ আদালতে পরের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। সেখানে কী তাহলে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে থেকেই ইনিংস করতে চলেছেন জুনিয়ররা? আন্দোলনকারী চিকিৎসক দেবপ্রিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমার এরকমটা মনে হয় না। আমাদের বক্তব্য তো লালবাজার অভিযানের সময় থেকেই পরিষ্কার। সুপ্রিম কোর্টও বলেছে তদন্তে ক্রুটি আছে। সেই ক্রুটির জন্য কে দায়ী? সবাই বলছে জাস্টিস চাই। কিন্তু তদন্তে গাফিলতি হলে কোথা থেকে জাস্টিস আসবে। আমরা চাইছি তদন্তে স্বচ্ছতা থাকুক।” তাঁদের সাফ কথা, তাঁরা যে দাবি করছেন তাঁর প্রত্যেকটা পয়েন্টের জন্য যুক্তি আছে। তাই সেগুলি মানতেই হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন মমতা। সাফ বলেছিলেন, ‘ওরা বিচার চায় না, চেয়ার চায়’। আন্দোলের পিছনে রাজনীতির আঁশটে গন্ধও দেখতে পাচ্ছেন অনেক তৃণমূল নেতাই। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় তো আবার রাস্তায় একেবারে মিছিল করে বলছেন, ‘খুনি ডাক্তারদের বিচার চাই’। এরইমধ্যে বিনা চিকিৎসায় ২৭ জন মৃত রোগীর পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও করেছে রাজ্য সরকার।
যদিও মমতার ‘চেয়ার’ মন্তব্যের প্রতিবাদেও ফুঁসে উঠেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। সাফ বলছেন, “আমরা যে চেয়ার চাইছি বা আন্দোলনে রাজনীতির রং আছে, এটা কোনওভাবেই সত্য়ি নয়। সাধারণ মানুষ যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে তা দেখার মতো। হাসপাতালও স্বাভাবিক আছে। সবাই সব পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ বনাম ডাক্তার যে চিত্র তৈরি করা হচ্ছে তা কোনওভাবেই হতে পারে না।” তার সুরে সুর মিলিয়েই আর এক আন্দোলনকারী বল ঠেলছেন সরকারের বাহাদুরের কোর্টেই। বলছেন, “আমাদের দাবিগুলির সত্যিই কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। আছে বলেই সাধারণ মানুষেরা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বাকি তো ওনার হাতে। উনি চাইলেই এটার সমাধান হতে পারে। তারপরেও বুঝতে পারছি না কেন সবকিছুতে এত লেট হচ্ছে?”
রাহুল সাঁধুখার রিপোর্ট…
কলকাতা: কলরব যেন থামছেই না। দিন যত যাচ্ছে প্রতিবাদের স্বর যেন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। যেদিকেই কান পাতা যায় সেদিকেই শুধু একটাই আওয়াজ, ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’। আর নয় ‘Want’, এবার ‘Demand’। প্রতিবাদীরা বলছেন, অনেক হয়েছে, আর নয়! ‘ওই ডিমান্ড জাস্টিস’। অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য ভবন, অবরুদ্ধ লালবাজার। পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি তো সেই কবেই উঠেছিল। এরইমধ্যে আবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর মানুষের স্বার্থের পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে ৫ দফা দাবি নিয়ে এখনও স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অনড় অবস্থানে ‘জুনিয়ররা’। নৈতিক সমর্থন জানিয়ে পথে নামছেন, আওয়াজ তুলছেন ‘সিনিয়ররাও’। কিন্তু, জট যে কাটছেই না! আর কতদিন চলবে আন্দোলন? পরবর্তী পদক্ষেপই বা কী হবে? উত্তর খুঁজতে একেবারে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে গ্রাউন্ড জিরোতে পৌঁছে গিয়েছিল টিভি-৯ বাংলা।
মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় স্বভাবতই হতাশ আন্দোলনকারীরা। এদিকে অনেক আগেই পার হয়েছে হয়েছে সুপ্রিম ‘ডেডলাইন’। গত মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ ছিল। কিন্তু, কাজে ফেরেননি আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। আগামী মঙ্গলে আবার শীর্ষ আদালতে পরের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। সেখানে কী তাহলে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে থেকেই ইনিংস করতে চলেছেন জুনিয়ররা? আন্দোলনকারী চিকিৎসক দেবপ্রিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমার এরকমটা মনে হয় না। আমাদের বক্তব্য তো লালবাজার অভিযানের সময় থেকেই পরিষ্কার। সুপ্রিম কোর্টও বলেছে তদন্তে ক্রুটি আছে। সেই ক্রুটির জন্য কে দায়ী? সবাই বলছে জাস্টিস চাই। কিন্তু তদন্তে গাফিলতি হলে কোথা থেকে জাস্টিস আসবে। আমরা চাইছি তদন্তে স্বচ্ছতা থাকুক।” তাঁদের সাফ কথা, তাঁরা যে দাবি করছেন তাঁর প্রত্যেকটা পয়েন্টের জন্য যুক্তি আছে। তাই সেগুলি মানতেই হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন মমতা। সাফ বলেছিলেন, ‘ওরা বিচার চায় না, চেয়ার চায়’। আন্দোলের পিছনে রাজনীতির আঁশটে গন্ধও দেখতে পাচ্ছেন অনেক তৃণমূল নেতাই। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় তো আবার রাস্তায় একেবারে মিছিল করে বলছেন, ‘খুনি ডাক্তারদের বিচার চাই’। এরইমধ্যে বিনা চিকিৎসায় ২৭ জন মৃত রোগীর পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও করেছে রাজ্য সরকার।
যদিও মমতার ‘চেয়ার’ মন্তব্যের প্রতিবাদেও ফুঁসে উঠেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। সাফ বলছেন, “আমরা যে চেয়ার চাইছি বা আন্দোলনে রাজনীতির রং আছে, এটা কোনওভাবেই সত্য়ি নয়। সাধারণ মানুষ যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে তা দেখার মতো। হাসপাতালও স্বাভাবিক আছে। সবাই সব পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ বনাম ডাক্তার যে চিত্র তৈরি করা হচ্ছে তা কোনওভাবেই হতে পারে না।” তার সুরে সুর মিলিয়েই আর এক আন্দোলনকারী বল ঠেলছেন সরকারের বাহাদুরের কোর্টেই। বলছেন, “আমাদের দাবিগুলির সত্যিই কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। আছে বলেই সাধারণ মানুষেরা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বাকি তো ওনার হাতে। উনি চাইলেই এটার সমাধান হতে পারে। তারপরেও বুঝতে পারছি না কেন সবকিছুতে এত লেট হচ্ছে?”