
কলকাতা: রবিবার, একাদশ-দ্বাদশের এসএসসি পরীক্ষায় ভিন রাজ্যের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৫১৭ জন। আর নবম দশমে ভিন রাজ্যের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৩৬২ জন। তা নিয়ে ডবল ইঞ্জিন সরকারকে খোঁচা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “ভিন রাজ্যের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে একটা বড় অংশ এসেছেন উত্তরপ্রদেশ বিহার থেকে। এটা উল্লেখ না করে পারা যাচ্ছে না, যে তথাকথিত বহু ঢক্কানিনাদে শোনা, বহু আড়ম্বরের শব্দ ডবল ইঞ্জিন সরকারের সাফল্য বা ব্যর্থতার খতিয়ান আসলে কত, তার হিসাব আন্দাজ করতে পারেন?” যদিও ব্রাত্য ‘ডবল ইঞ্জিন সরকারের’ খোঁচার পাল্টা জবাব দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি আবার স্মরণ করিয়ে দেন গুজরাটের FDI-(ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট) অর্থাৎ নির্দিষ্ট রাজ্যে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের হিসাব।
বাংলায় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে যুযুধান বিরোধী পক্ষ বিজেপি। এমনকি বাংলায় এসে এবিষয়ে সুর চড়িয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু গত রবিবারের পর এই রবিবার, বাংলার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ধরা পড়েছে অন্য ছবি। আর যাকে বলিয়ান করেই সুর চড়িয়েছেন শাসক নেতৃত্ব। আগেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, বাংলায় তো ভিন রাজ্য থেকে বহু পরীক্ষার্থী এসেছেন, কেউ তো তাঁদের অসম্মান, অপমান করেননি। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বাঙালি অস্মিতার বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। ব্রাত্য এদিন এও বলেন, “বাংলা বরাবরই বাইরের রাজ্যের লোকেদের আপন করে নিয়েছে
ওরা অধম হলে আমরা উত্তম হইব না কেন?”
যদিও শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের রাজ্যের ছেলেমেয়েরাও ভিন রাজ্যে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে, সেই সংখ্যাটা কত? একটা সময়ে পশ্চিমবঙ্গ মানুষকে রোজগার দিত, মানুষ নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ দিত। ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পরে আমাদের বাণিজ্যে কনট্রিবিউশন ছিল ২৭ শতাংশ। আমাদের রাজ্যের FDI এখন .৬ শতাংশ। আর বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না বলে যাঁরা বলেন, গুজরাটের FDI হচ্ছে ৩৯.৬ শতাংশ। আর আমাদেরকে .৬ শতাংশ। এটাই তো চিত্র।”