কলকাতা: ডিওয়াইএফআই (DYFI) নেতা কলতান দাশগুপ্তর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে এই মামলা দায়ের হয়। বুধবার মামলার শুনানি ছিল। আদালতের প্রশ্ন, ফোনের অপর প্রান্তে কে কী কথা বলবে তার দায়িত্ব নিয়ে কি কাউকে গ্রেফতার করা যায়? আজ কলতানের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। অপরদিকে রাজ্যের হয়ে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি। বাদী-বিবাদী পক্ষের সওয়াল-জবাব একনজরে
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য: দিনে ৩০টি ফোন আসতে পারে। সঞ্জীব দাসকে চেনে না। কলতানকে ফোনে কী বলল তার দায়িত্ব কেন নেবেন তিনি? আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা করা হয়েছে। শ্যামবাজারে তখন কলতান বিক্ষোভ করছে। শুধু ১৯৬ বিএনএস ছাড়া সব ধারাই জামিন যোগ্য। ১৯৬ বিএনএস অনুযায়ী তিন বছর জেল। সেক্ষেত্রে ৪১ এ নোটিস দেওয়া প্রয়োজনীয়। সেটা দেওয়া হয়নি। কোনও ভয়েস টেস্ট হয়নি। সঞ্জীব দাসের গ্রেফতারির এফআইআর (FIR)কোথায়? কল রেকর্ড অধিকার লঙ্ঘন করে। এফআইআর খারিজের আর্জি জানাচ্ছি।
অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত: সঞ্জীব নামের ব্যক্তি ফোন করেন কলতানকে। কল ডিটেল রেকর্ডে কলতানের নম্বর পাওয়া গিয়েছে। দু’জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও কলতান মোবাইল আনলক করেননি।
বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ: ফোনালাপে অপরপ্রান্তে কে কী বলবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করবে কীভাবে? সেটা তো কারো হাতে নেই। এর জন্য কীভাবে অপরাধী হতে পারেন একজন? একজনকে কে কী শুধু টেলিফোনিক বার্তালাপে গ্রেফতার করা যায়?