Calcutta High Court: আবার হবে রাত দখল, পুলিশ মুখ ফেরালেও অনুমতি দিল হাইকোর্ট

Calcutta High Court: আগামী ১৬ জানুয়ারি একটি মিছিলের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল পুলিশের কাছে। পুলিশ অনুমতি দেয়নি বলে দাবি করেন আইনজীবী। আরজি কর কাণ্ডের পর এতদিন কেটে গেলেও বিচার পাওয়া যায়নি, সেই কারণেই পথে নামছেন মেয়েরা।

Calcutta High Court: আবার হবে রাত দখল, পুলিশ মুখ ফেরালেও অনুমতি দিল হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্ট Image Credit source: Getty Images

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jan 15, 2025 | 7:04 PM

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ফের রাত দখল। ‘রাত দখল ঐক্যমঞ্চে’র মিছিলের অনুমোদন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই মঞ্চ। বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে ছিল শুনানি। মিছিল হবে ওয়েলিংটন থেকে কলেজ স্কোয়ার পর্যন্ত। এরপর কলেজ স্কোয়ারেই ‘রাত দখল’ কর্মসূচি পালন করবে ঐক্যমঞ্চের সদস্যরা। সেখান থেকে পাঁচ জন সদস্য সচিবালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেবেন।

আবেদনকারীদের আইনজীবী শামিম আহমেদ এদিন আদালতে জানান, আরজি কারের ঘটনার পর প্রতিবাদের নানা রকমের পথ বেছে নিয়েছেন সাধারণ মানুষ। আগামী ১৬ জানুয়ারি একটি মিছিলের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল পুলিশের কাছে। পুলিশ অনুমতি দেয়নি বলে দাবি করেন আইনজীবী। আরজি কর কাণ্ডের পর এতদিন কেটে গেলেও বিচার পাওয়া যায়নি, সেই কারণেই পথে নামছেন মেয়েরা। জয়েন্ট সিপি হেড কোয়ার্টারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কোনও অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ। তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ‘রাত দখল ঐক্যমঞ্চ’।

রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী জানান, ওয়েলিংটন মোড় থেকে রানি রাসমণি পর্যন্ত একটি মিছিল করতে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এরপর তাদের সারারাতের একটা কর্মসূচি রয়েছে। সেখান থেকে তাঁদের নবান্ন যাওয়ার কথা। নবান্ন অভিযানের কথা থাকলেও, হাওড়া পুলিশকে কেন মামলায় যুক্ত করা হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। কতজন সদস্য নবান্নে যাবেন, কতজন সদস্য অবস্থানে বসবেন, সেই বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি রাজ্যের।

সম্প্রতি নবান্ন অভিযান বন্ধ করার জন্য একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে, যা এই মুহূর্তে বিচারাধীন। সে কথাও এদিন উল্লেখ করেছে রাজ্য। এছাড়াও রাজ্য জানিয়েছে, রানী রাসমণিতে কোনও কর্মসূচি করতে গেলে সেনার অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন, সেটা করা হয়নি। পুলিশের কাছে অনলাইনে আবেদন করেই কেন দায়িত্ব শেষ? এই প্রশ্নই তোলে রাজ্য।