কলকাতা: দু’দিন আগেও গোটা মাঠ জুড়ে ছিল সবুজের সমারোহ। ফুলকপি, লঙ্কা, টম্যাটো, ক্যাপসিক্যামের গাছ গুলো দ্রুত বেড়েও উঠছিল। ফলও ধরেছিল। আর ক’দিন পরেই বাজারে বিক্রি করে মোটা টাকা আসতো চাষিদের পকেটে। শুক্রবার থেকেই সব ছবি পাল্টে গেল। ঘূর্ণিঝড় দানা ল্যান্ডফল করার পর শুরু হয়েছে দফায় দফায় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে জল জমেছে সবজি ক্ষেতে। সবুজ মাঠ এখন ধু ধু করছে। গোটা মাঠ কার্যত পরিণত হয়েছে জলাশয়ে। সেখানে ভাসছে সবজির পাতা, গাছ। মাথায় হাত কৃষকদের। সকলের গলাতেই হতাশার সুর। একই কথা সকলের মুখে, শুক্রবারের বৃষ্টিতে সব শেষ।
শুক্রবার সকাল থেকে বেলা যত বেড়েছে তত বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। এমন ভারী বৃষ্টি হয়েছে যে মাঠে মাঠে হাঁটু সমান জল জমে গিয়েছে। পচন ধরেছে সবজিতে। শীতকালের কথা ভেবে ভাঙড়ের দুটি ব্লকের ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যারা রবি শষ্যের চাষ করেছিলেন তাঁদের মাথাতেও হাত। চাষিদের দাবি, ভারী বর্ষনে মাঠ ভরা উচ্ছে, পটল, লঙ্কা, ফুল কপি, ব্রকোলি, বাঁধা কপি, টম্যাটো, ক্যাপসিক্যামের গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। একটানা বৃষ্টিতে শাক জাতীয় সবজি যেমন পালং, লেটুসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাষীদের আশঙ্কা এখন বৃষ্টি থামলেও কালীপুজোর সময় সবজি দর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে। উল্টে কমবে জোগান।
নিউ টাউন লাগোয়া হাতিশালা, কোঁচপুকুর, সাতুলিয়াতে মাচা পদ্ধতিতে লাউ, কুমড়ো, চাল কুমড়ো চাষ হয়। এক টানা বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে মাচার খুঁটি আলগা হয়ে মাঠেই মুখ থুবড়ে পড়েছে লাউ, কুমড়ো। কাদায় গড়াগড়ি যাচ্ছে গাছের ডালপালা। জমি থেকে গাছ তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন চাষিরা। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে মাচা ভেঙে পড়েছে। গাছ, ফল সব পচে যাচ্ছে। এই বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে আউশ ধানের। দানা ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগে পাকা ধান তোলা গেলেও কাঁচা ধান তোলা যায়নি। মাঠেই জমা জলে গড়াগড়ি খাচ্ছে সোনার ফসল।