DA: কেন সরকারি কর্মীদের দেওয়া হয় DA? এর পিছনের দীর্ঘ ইতিহাস স্পষ্ট করলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি

DA: ডিএ-এর ইতিহাস বেশ দীর্ঘ এবং বিভিন্ন সময়ে এর সংজ্ঞা ও হিসাব পদ্ধতিও পরিবর্তিত হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্তও এদিন স্পষ্ট করলেন ডিএ-এর ইতিহাস।

DA: কেন সরকারি কর্মীদের দেওয়া হয় DA? এর পিছনের দীর্ঘ ইতিহাস স্পষ্ট করলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি
কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্তImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 16, 2025 | 11:28 PM

কলকাতা: মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ (Dearness Allowance)! রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বঞ্চিত হচ্ছিলেন তাঁদের প্রাপ্য ডিএ থেকে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে সে ‘জয়’ ছিনিয়ে এনেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তবে জানেন ঠিক কবে থেকে আর কেন সরকারি কর্মীদের ডিএ-এর দেওয়া শুরু হয়? এর ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। মূলত, যা লুকিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে।  মূলত সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের বেতনের একটি অংশ যা জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি বা মূল্যস্ফিতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেওয়া হয়। ডিএ-এর ইতিহাস বেশ দীর্ঘ এবং বিভিন্ন সময়ে এর সংজ্ঞা ও হিসাব পদ্ধতিও পরিবর্তিত হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্তও এদিন স্পষ্ট করলেন ডিএ-এর ইতিহাস।

অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শুরু হয় মহার্ঘ ভাতা। এটাকে প্রথমে বলা হয় ফুড অ্যালাউন্স। এটা চালু হয়েছিল শিলং-সহ ভারতের যে কয়েকটা ব্রিটিশ অধ্যষিত জায়গা ছিল, সেখানে। তখন দেশে মুদ্রাস্ফিতি শুরু হয়। মাইনেতে রাজ্য কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের চলছিল না। তাঁদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ক্রয়ক্ষমতাই কমে গিয়েছিল। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের ক্রয়ক্ষমতাকে মিলিয়ে দেওয়া জন্য তখন ফুড অ্যালাউন্স দেওয়া হত, যেটা এখন ডিএ। বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রেও দেওয়া হত। পরবর্তীকাল ফুড অ্যালাউন্সকে বলা হল ডিয়ারনেস  অ্যালাউন্স।”

বাংলায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ-এর দাবি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। ২০১৮ সাল থেকে ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার এবং কর্মচারীদের মধ্যে একাধিক মামলা ও আন্দোলন হয়েছে। ২০২২ সালে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ বাবদ প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা পাওনা ছিল। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের বাজেটে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছিল, যা ২০২৩ সালে ১৮% এবং ২০২৪ সালে ২৯% ছিল। হাইকোর্ট পেরিয়ে এই মামলার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। দীর্ঘ শুনানির পর শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী নির্দেশে স্পষ্ট করে দেয়, রাজ্য সরকারকে অন্ততপক্ষে ২৫ শতাংশ ডিএ দিতেই হবে।