High Court in Recruitment Scam: ‘এত ক্যাজুয়াল!’ CID-র রিপোর্ট দেখে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বললেন, ‘যেন ক্লার্কের লেখা চিঠি’

Shrabanti Saha | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Feb 13, 2024 | 6:41 PM

High Court on CID: আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য এদিন আদালতে উল্লেখ করেন, জাসমিনা খাতুনের স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তাঁকে বরখাস্ত করার পরও তিনি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আইনজীবীর দাবি, আসলে এটা কোনও ভুল নয়, ইচ্ছে করে বোর্ড আর কমিশন একে অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। মামলায় রাজ্যের তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি বসু।

High Court in Recruitment Scam: এত ক্যাজুয়াল! CID-র রিপোর্ট দেখে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বললেন, যেন ক্লার্কের লেখা চিঠি
হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: রাজ্যে কতজনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে, সেই তালিকা তৈরি করে রাজ্যকে আগামী সোমবারের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেটাও জানাতে হবে সিট-কে। নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন রাজ্যের তদন্তকারী অফিসাররা। সিট-এর রিপোর্ট দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, “রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে কোনও হেড ক্লার্ক বা বড়বাবু বসে বসে চিঠি লিখেছেন। তদন্ত করেননি।”

সিআইডি তদন্তে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি বসু বলেন, ‘সিআইডি-র ওপর ভরসা করেছিলাম, কিছুই হয়নি।’ এত বেআইনি কাজের পরও কেন কিছু করা হল না, তদন্তকারী অফিসার (আই ও) কী করছিলেন, সেটাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি বসু।

আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য এদিন আদালতে উল্লেখ করেন, জাসমিনা খাতুনের স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তাঁকে বরখাস্ত করার পরও তিনি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আইনজীবীর দাবি, আসলে এটা কোনও ভুল নয়, ইচ্ছে করে বোর্ড আর কমিশন একে অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

জাসমিনা খাতুনের স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও, তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হল না কেন? সেই প্রশ্ন তুলে বিচারপতি সিআইডি-র উদ্দেশে বলেন, ‘ঘুমোচ্ছিলেন নাকি?’ সিট তথা তদন্তকারী অফিসারদের কড়া সুরে ভর্ৎসনা করেছেন বিচারপতি। জরিমানা চাপানো হবে বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, ‘বোর্ড আর কমিশন সব জেনেও চুপ করে বসেছিল। শুধু কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তদন্তভার দিয়ে থামব না, সিআইডি-র প্রত্যেক অফিসারের বিরুদ্ধে জরিমানা চাপাব। সিট-এর এত ক্যাজুয়াল অ্যাপ্রোচ!’

মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলের বেআইনি নিয়োগ নিয়ে তদন্ত চলাকালীন আরও একাধিক অভিযোগ উঠে আসে। এসএসসি-র পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান শেখ সিরাজুদ্দিনের স্ত্রী জাসমিনার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকেই চাকরি হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে জাসমিনার বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার ওই শিক্ষিকার স্বামী শেখ সিরাজুদ্দিন বাঁকুড়ার শালডিহা কলেজের অধ্যক্ষ পদে রয়েছেন। অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের করণচাঁদ হাই স্কুলের এক শিক্ষক শুভেন্দু হাটুয়ার বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। এদিন তাঁর কথাও উল্লেখ করেন বিচারপতি। কীভাবে শুভেন্দু হাটুয়া এখনও চাকরি করছেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

ডেটা বেস তৈরি করা প্রসঙ্গে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘সেন্ট্রাল ডেটা বেস কি তৈরি হয়েছে? এক বছর পেরিয়ে গেল, তবুও রাজ্য বলে চলেছে ফাইনাল স্টেজ। আপনাদের ফাইনাল ছাড়া সেমিফাইনাল হয় না?’

Next Article