কলকাতা: পুজোর বিধি নিষেধ নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এদিকে, পুজোয় স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে কড়া কলকাতা পুলিশ। হাইকোর্টের আদেশের পর কীভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়ে কী কী বন্দোবস্ত করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখবেন সিপি। এবং সেই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেওয়া হবে।
পুজোর আর বাকি কয়েকটা দিন। এবছরও পুজো মণ্ডপ দর্শক শূন্য রাখার নির্দেশ দিয়েছে
হাইকোর্ট। তাছাড়াও পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া হচ্ছে এক গুচ্ছ নির্দেশ। পুজো কমিটিগুলি আদৌ সে নির্দেশ মানা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই শহর ঘুরেছেন পুলিশ কর্তারা।
গত মঙ্গলবার সকালেই একডালিয়া পুজোর মণ্ডপ পরিদর্শন করেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। বিধাননগরের প্রতিটি পুজো মণ্ডপ ঘুরে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার। মণ্ডপের ভিতরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ। কিন্তু মণ্ডপের বাইরে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিটিগুলির তরফে ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে কলকাতা পুলিশ।
শহরের বেশিরভাগ বড় পুজো কমিটিগুলিতে বিধি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছেন কলকাতা পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। পুজোর সময়ে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি-বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, তার জন্য প্রতিবারই বিশেষ ব্যবস্থা নেয় কলকাতা। এবারও তার অন্যথা হবে না। করোনাকালে আরও সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।
রাজ্য সরকার এরই মধ্যে পুজোর ১১ দফা গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে অঞ্জলি, সিঁদুরখেলা থেকে মণ্ডপে ঢোকা ও বেরোনোর জন্য পৃথক গেট রাখার কথা বলা হয়েছে। আইনজীবীর মতে, হাইকোর্টের নির্দেশে এইগুলির কোনওটাই করার কথা নয়। তাই আদালত অবমাননার মামলা করা হচ্ছে।
এবারও পুজোতে মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’ নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবারই এ কথা জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। করোনা পরিস্থিতিতে পুজো মণ্ডপগুলিতে যাতে কোনও ভাবেই স্বাস্থ্যবিধি অমান্য না করা হয়, সেই দাবিতেই আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।
হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, গত বারের মতো এবারও মণ্ডপে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। রাজ্যও আদালতের সেই নির্দেশকে শিরোধার্য করেছে। দুর্গাপুজোর পাশাপাশি কালীপুজোর মণ্ডপগুলিতেও এই বিধি নিষেধ বলবৎ থাকবে। গত বছর অজয় দে নামে এক ব্যক্তির জনস্বার্থ মামলার নিরিখে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, ১০ মিটারের মধ্যে কোনও ভাবেই কোনও দর্শক মণ্ডপে থাকবেন না। এবছর রাজ্য সরকার হাইকোর্টের ‘নো এন্ট্রি’ নির্দেশ ভঙ্গ করছে বলে মামলা করেন এক আইনজীবী।
মামলকারী আদালতের বলেন, “গত বছর নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল যে প্রবেশ পথ কিংবা বাহির পথ আলাদা করে কিছু থাকবে না। সিঁদুর খেলার ওপরেও বিশেষ বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল। কিন্তু এবারের সার্কুলারে দেখা যাচ্ছে, সেখানে সিঁদুর খেলার অনুমতি দেওয়া রয়েছে। প্রত্যেক মণ্ডপে প্রবেশ ও বাহির পথও আলাদা আলাদা ভাবে দেখানো হয়েছে।” বৃহস্পতিবার বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন তিনি। এই নিয়ে এজিকে তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: Durgapuja Guidelines: ‘পুজোয় মানা হচ্ছে না বিধি নিষেধ’, এজি-কে তলব হাইকোর্টের