Kolkata Medical College: কেন্দ্রের টাকা খরচই করতে পারল না কলকাতা মেডিক্যাল, ফেরত গেল জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের টাকা

Sourav Dutta | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 31, 2025 | 5:04 PM

Kolkata Medical College: জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে বরাদ্দ টাকা দিয়ে জননী সুরক্ষা কার্যক্রমে সদ্যোজাতদের ওষুধ কেনা যেত, যাঁরা হাসপাতালের অন্য বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে, তাঁদের জন্য ওষুধ কেনা যেত। রোগীর পরিজনরা স্পষ্টই অভিযোগ করছেন, তাঁদের সব কিছুই বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।

Kolkata Medical College: কেন্দ্রের টাকা খরচই করতে পারল না কলকাতা মেডিক্যাল, ফেরত গেল জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের টাকা
ডান দিকে কলকাতা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: রাজ্যে স্বাস্থ্যে ফের দুর্দশার ছবি প্রকাশ্যে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে বরাদ্দ টাকা খরচই করতে পারল না কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। অভিযোগ, হাসপাতালে না পেয়ে ওষুধ, চিকিৎসার সামগ্রী কিনতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে ৮৭ লক্ষ ২৯ হাজার ৪০১ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। ৩০ টি খাতে এই টাকা মঞ্জুর করেছিল স্বাস্থ্য ভবন। ২০২৪ সালের ২৪ মে নির্দেশিকা জারি করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ হয় সেই টাকা। কিন্তু সেই টাকা খরচই করতে পারল না কলকাতা মেডিক্যাল। ফেরত গেল সেই টাকা।

জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে বরাদ্দ টাকা দিয়ে জননী সুরক্ষা কার্যক্রমে সদ্যোজাতদের ওষুধ কেনা যেত, যাঁরা হাসপাতালের অন্য বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে, তাঁদের জন্য ওষুধ কেনা যেত। রোগীর পরিজনরা স্পষ্টই অভিযোগ করছেন, তাঁদের সব কিছুই বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। ওষুধ তো বটেই, ডায়াগনিস্টিক, রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে-সবই বাইরে থেকে করতে হচ্ছে।

এক রোগী বললেন, “আমি সরকারি হাসপাতালে যখন এসেছি, তখন তো জানি, আমার টাকা পয়সা লাগবে না, সুস্থ হয়ে ফিরে যাব। কিন্তু সবই বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। কী করব! প্রাণসংশয় হয়ে যাবে নাহলে।” আরেক রোগীর আত্মীয়র কথায়, “মেলা টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। এক-একটা পরীক্ষা ১২০০ টাকা, এরকম অনেকগুলো পরীক্ষা করতে দিচ্ছে। এ তো দেখি বেসরকারি হাসপাতালের মতোই খরচ হয়ে যাচ্ছে।”

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারী বলেন, “আমাদের ভীষণরকম প্রয়াস ছিল, যাতে কোনও টাকা পয়সা ফেরত না যায়। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমাদের অ্যাকাউন্টসকে বোঝাতে পারিনি, টাকা পুরোটাই খরচ করা উচিত। আমাকে অ্যাকাউন্টস থেকে বোঝানো হয়, এখানে বেশ কিছু ক্ষেত্রে নাকি ট্রেজারিও অবজেকশন দেবে।”

কলকাতা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, “কিছু ফিনান্সিয়াল প্রসেস রয়েছে। ভেন্ডারকে অর্ডার করতে হয়,নন ক্যাট হলে একটা টেন্ডার করতে হয়। ভেন্ডারকে মেটারিয়াল সাবমিট করতে হবে, বিল সাবমিট করতে হবে, তারপর সেটা অ্যাকাউন্ট সেকশনে যাবে, ট্রেজারিতে যাবে, তারপর পাস হয়। টাকা আসা ইয়ার এন্ডিং, এর মাঝের সময়টা যদি খুব কম হয়, তখন পুরোটা টাকাটা ব্যবহার করা যায় না।”