কলকাতা: বাংলার বকেয়া পাওনা-গণ্ডার দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে সম্প্রতি জানতে চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেছিলেন, ক্যাগের রিপোর্ট পড়ে দেখার জন্য। আর এরপরই বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তুলে ধরেন ক্যাগ রিপোর্টের প্রসঙ্গ। সুকান্তর দাবি, প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য। আর এই নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। এই বিতর্কের আবহেই এবার প্রধানমন্ত্রীকে ‘স্ট্রং’ চিঠি পাঠালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে ধরনামঞ্চ থেকে মমতা নিজেই জানালেন সে কথা।
ক্যাগ রিপোর্ট ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে মমতা বললেন, “বলা হচ্ছে নাকি বেনিয়ম হয়েছে। টাকা খরচ করা হয়নি। আমি একটা স্ট্রং চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছি। এখানে বসেই সই করলাম। ক্যাগ যে কথাটাই জানে না, সেটাই লিখেছে। বলছে ২০০৩ সাল থেকে। আরে ২০০৩ সালে থোড়াই আমরা ছিলাম! ২০১১-র পরে আমরা যখন এসেছি, তখনকার দায়িত্ব নেব। তা সত্ত্বেও বলি, প্রত্যেকটা ইউটিলাইজ়েশন সার্টিফিকেট গেছে। টোটাল মিথ্যা কথা। সত্য কখনও চাপা থাকে না।”
প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে মমতার পাঠানো সেই ‘স্ট্রং’ চিঠিতে কী কী বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে? সে কথাও আজ ধরনা মঞ্চ থেকে জানালেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, প্রত্যেকটি ইউটিলাইজ়েশন সার্টিফিকেট যে সময়মতো দেওয়া হয়েছে, সে কথা উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। প্রধানমন্ত্রী যে সুদীপকে বলেছিলেন, ক্যাগ রিপোর্ট দেখে নেওয়ার জন্য… সে প্রসঙ্গও আজ উঠে আসে মমতার গলায়। বললেন, ‘কী দেখব! পুরো মিথ্যে কথা বলা হয়েছে। ক্যাগের কাছে কোনও তথ্যই ছিল না, কী লিখতে হবে, কী লিখতে হবে না। এটি একটি বিকৃত তথ্য, যা বিজেপি দলের তরফে লেখা হয়েছে।’