কলকাতা: আরজি করের ঘটনায় বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। সেগুলোর কোনও বৈজ্ঞানীক ভিত্তি নেই। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেই বিষয়টি নিয়ে সচেতন করলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি বলেন, “বিভিন্ন ধরনের গুজব ঘোরাফেরা করছে, যার কোনও ভিত্তি নেই। আর গুজবের ওপর ভিত্তি করেই অনেক বিশেষজ্ঞরা কথা বলছেন, সেগুলোরও কোনও ভিত্তি নেই। যেমন অনেক বিশেষজ্ঞকেই বলতে শোনা যাচ্ছে, এটা গণধর্ষণের ঘটনা। কিন্তু এই ধরনের গুজবের ওপর ভিত্তি করে কোনও মন্তব্য করা উচিত হয়।”
সাংবাদিক বৈঠকে বেশ কয়েকটি ‘গুজবের’ ব্যাপারে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন পুলিশ কমিশনার। সিপি বলেন, “এই ঘটনাটি নিয়ে অনেক রকমের গুজব ছড়াচ্ছে। কখনও বলা হচ্ছে এটা গণধর্ষণের ঘটনা, কখনও বলা হচ্ছে ১৫০ গ্রাম সিমেন পাওয়া গিয়েছে, কখনও আবার মহাপাত্র পদবিধারীকে বিশেষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পদবির সঙ্গে জুড়ে দোষী হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই ধরনের গুজব নিয়ে বিশ্লেষণও হচ্ছে। যা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেলছে।”
সিপি আবার বলেন, “কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। এখন এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এই ঘটনা এখন তদন্ত সাপেক্ষ। বৈজ্ঞানিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই তদন্ত করছেন আধিকারিকরা।” সিপি বলেন, “অনেক সময় বলা হচ্ছে পুলিশ নাকি বলেছে একটা আত্মহত্যার ঘটনা। কিন্তু এটাও সম্পূর্ণ ভুল। কারণ পুলিশ এটাকে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলেছে। সাপে কাটা হোক কিংবা রাস্তায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু- এই ধরনের মৃত্যুর ক্ষেত্রেও পুলিশ প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মামলা রুজু করে। এটাই আইন। ভারতে যে কোনও রাজ্যেই এটা হয়।” কিন্তু পুলিশ যে কখনই এটাকে ‘আত্মহত্যা’ বলেনি, সেটাও স্পষ্ট করেন সিপি। তবে সিপি বলেন, “আমাদের প্রমাণ দরকার। প্রমাণ ছাড়া কাউকে আমরা ধরতে পারি না। আমাদের কাউকে বাঁচানোর নেই। প্রমাণের অপেক্ষায় রয়েছি। দয়া করে গুজব ছড়াবেন না।”
সিপি জানিয়েছেন, “আমাদের কাছে যা যা তথ্য ছিল, তা সবই সিবিআই-কে দেওয়া হয়েছে। আমাদের অফিসাররাও নতুন তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করছে।”