RG Kar Protest: ‘আর উই ওয়ান্ট নয়, বলুন উই ডিমান্ড জাস্টিস’, গর্জে উঠলেন তিলোত্তমার কাকিমা

সৌরভ গুহ | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 08, 2024 | 9:50 PM

RG Kar Protest: কাকিমা বলেন, "ছোট থেকে মেয়েটাকে চোখের সামনে বড় হতে দেখেছি। কাকি বলে আর কেউ ডাকে না। এই ঘটনার ১৫ দিন আগেও বাড়িতে একটা অনুষ্ঠান ছিল। আমরা সকলে রাতভর কত গল্প, কত পরিকল্পনা। বাড়িতে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি নিয়ে কত কথা। তার ১০ দিন পর আমাদের ভাগ্যে যে এই নিষ্ঠুর দিনটা অপেক্ষা করছে কল্পনাও করতে পারিনি। আজ আর উই ওয়ান্ট জাস্টিস না, উই ডিমান্ড জাস্টিস। আপনারা বলবেন ডিমান্ড জাস্টিস। ওয়ান্ট আর নয়। আমাদের জাস্টিস দিতেই হবে।"

RG Kar Protest: আর উই ওয়ান্ট নয়, বলুন উই ডিমান্ড জাস্টিস, গর্জে উঠলেন তিলোত্তমার কাকিমা
প্রতিবাদের ভাষা রঙে তুলিতে ফুটে উঠছে রাজপথে। (ফাইল ছবি)
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে রবিবার এনআরএস হাসপাতাল থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স ফোরাম মহামিছিল বের করে। কালো বেলুন হাতে প্রতিবাদে নামেন চিকিৎসকরা। ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী, নাগরিক সমাজের বড় অংশ। তাতে সামিল হন তিলোত্তমার পরিবারের লোকেরাও। ধর্মতলায় ছিলেন তিলোত্তমার মা, বাবা, কাকিমা। বক্তব্যও রাখেন তাঁরা। তিলোত্তমার বাবা বলেন, “আপনারা পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে একটাই শান্তি, বিচার আমরা পাবই।” গর্জে ওঠেন তিলোত্তমার কাকিমাও। বলেন, এবার আর ‘ওয়ান্ট’ নয়, জাস্টিস ‘ডিমান্ড’ করতে হবে।

প্রথম থেকেই সংবাদমাধ্যমে সরব তিলোত্তমার কাকিমা। এদিনও গর্জে ওঠেন তিনি। বলেন, “ছোট থেকে মেয়েটাকে চোখের সামনে বড় হতে দেখেছি। কাকি বলে আর কেউ ডাকে না। এই ঘটনার ১৫ দিন আগেও বাড়িতে একটা অনুষ্ঠান ছিল। আমরা সকলে রাতভর কত গল্প, কত পরিকল্পনা। বাড়িতে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি নিয়ে কত কথা। তার ১০ দিন পর আমাদের ভাগ্যে যে এই নিষ্ঠুর দিনটা অপেক্ষা করছে কল্পনাও করতে পারিনি। আজ আর উই ওয়ান্ট জাস্টিস না, উই ডিমান্ড জাস্টিস। আপনারা বলবেন ডিমান্ড জাস্টিস। ওয়ান্ট আর নয়। আমাদের জাস্টিস দিতেই হবে।”

এদিন তিলোত্তমার বাবাও হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন বক্তব্য রাখতে উঠে। বলেন, “আমার মেয়ে চলে গিয়েছে, আমরা শোকাহত। অনেক কষ্ট করে মেয়েটা এখানে এসেছিলাম। আমরাও চেষ্টা করেছিলাম। একটা রাতে আরজি করের দুষ্কৃতীরা আমার মেয়ের জীবনটা নষ্ট করে দিয়ে আমাদের পুরো পরিবারকে শেষ করে দিল।”

এরপরই বলতে ওঠেন তিলোত্তমার মা। বলেন, “আমি কী বলব? আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। খুব ছোট থেকে মেয়েটার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা ছিল। সেই ডাক্তার হতে এসেই আরজি করে বলিদান দিল। একটা অনডিউটি ডাক্তার এভাবে চরম অত্যাচারিত হয়ে যখন মা মা করে কাঁদছিল, সেই কান্নাটা আমি মনে হয় এখন রোজ শুনি। কত কষ্টে আমার মেয়ের প্রাণটা চলে গিয়েছে। পুলিশ প্রথম থেকে অসহযোগিতা করেছে। একটু ওরা সহযোগিতা করলে আশার আলো দেখতে পেতাম। এত বড় ক্রাইমের পর পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সব প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে।” তিলোত্তমার বাবা, মা যখন মঞ্চে বলছেন, তখন ভিড় থেকে রোল উঠেছে, ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস।’

Next Article