কলকাতা: ইন্ডিয়া জোটের আসন সমঝোতা নিয়ে তুমুল চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিশেষ করে কংগ্রেসের জন্য তৃণমূল ক’টি আসন ছাড়বে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। আর এসবের মধ্যেই তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে বাড়তি গুরুত্বই দিলেন না তৃণমূল নেত্রী। সূত্রের খবর, শুক্রবার দলীয় বৈঠকে মমতা বলেছেন, ‘অধীর কোনও ফ্যাক্টর নয়’। বহরমপুর কেন্দ্রে কংগ্রেসকে জমি না ছাড়ার ইঙ্গিত এসেছে তৃণমূল নেতৃত্বের থেকে, সূত্র মারফত এমনও জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগে ইন্ডিয়া জোটের প্রাদেশিক সমীকরণ ঘিরে জোর চর্চা চলছে গোটা দেশজুড়ে। কোন দল কোন রাজ্যে কাকে কতটা আসন ছাড়বে, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। প্রাদেশিক রাজনীতির সমীকরণ নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে বাংলাতেও। তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা বাংলার মাটিতে কতটা সফল হবে, তা নিয়ে চর্চা চলছে। এসবের মধ্যেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে অধীরকে বিশেষ গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না বাংলার শাসক দলের তরফে। প্রায় দেড়-দু’ঘণ্টা ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মূল নির্যাস এটাই বলে জানা যাচ্ছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্বাভাবিকভাবে জল্পনা ছড়িয়েছে, তাহলে কি বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে চলেছে তৃণমূল? এখনও পর্যন্ত সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে, বহরমপুর কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার চিন্তাভাবনাও একেবারে বাদের খাতায় রাখছে না তৃণমূল শিবির।
সূত্র মারফত এও জানা যাচ্ছে, শুধু বহরমপুরেই নয়, মুর্শিদাবাদের তিনটি আসনেই জয়ের জন্য ঝাঁপাতে চাইছে শাসক শিবির। বৈঠক শেষে বেরিয়ে হুমায়ুন কবীর দাবি করেছেন, ৪২টি আসনেই প্রার্থী দেবে তৃণমূল। অর্থাৎ, যদি শেষ পর্যন্ত এটাই বাস্তবায়িত হয়, তাহলে কি বর্তমানে কংগ্রেসের যে দু’টি আসন রয়েছে অর্থাৎ অধীরের মুর্শিদাবাদ ও আবু হাসেম খান চৌধুরীর দক্ষিণ মালদা… দুই জায়গাতেই প্রার্থী দিতে চলেছে তৃণমূল?
যদিও প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘যদি হিম্মত থাকে, আপনি নিজে দাঁড়ান বহরমপুরে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে ভয় পাচ্ছেন। উনি বুঝতে পারছেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস শক্তিশালী হচ্ছে।’