দমদম: পুজোয় চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে মারধর, বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত ব্যবসায়ীর বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন সন্তান ও স্ত্রী। দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে এক স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। পুজোয় সরকার অনুদান দেওয়ার পরও কীভাবে উঠছে এমন অভিযোগ, প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
দমদমের সুভাষনগরের বাসিন্দা সৌমেন বর্মন পেশায় জল ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, পুজোর সময় স্থানীয় তৃণমূলকর্মী সৌরভ আইচ ওরফে বাবুলাল তাঁর কাছ থেকে পুজো কমিটির জন্য ৫০ হাজার টাকা চায়। এছাড়া তাঁর কাছে ১০০ পেটি জলও চায় বলে অভিযোগ। তিনি তাঁর সাধ্যমতো দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হননি সৌরভ আইচ ওরফে বাবুলাল!
গত ১৩ অক্টোবর তাঁর বাড়িতে বাবুলাল চড়াও হন বলে অভিযোগ সৌমেন বর্মনের। তিনি জানান, তিনি বাড়ির বাইরে বেরলে তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করেন বাবুলাল। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে তাঁর স্ত্রী ও বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন সন্তান। ব্যবসায়ীকে বাঁচাতে গেলে মারধর করা হয় স্ত্রী, সন্তানকেও। ব্যবসায়ীর স্ত্রী-র অভিযোগ, তাঁর স্বামী ও সন্তানকে মারধর করা হচ্ছে বলে তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন, সেই সময় তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়। তাঁর ও মেয়ের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমার বোবা মেয়েটাকে পর্যন্ত ছাড়েনি। ও কানে শুনতে পায় না, কথা বলতে পারে না।’
এমনকী এখনও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। গত ১৫ অক্টোবর এই বিষয়ে সমস্ত পদ্ধতি মেনে দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও অধরা অভিযুক্ত। অভিযোগকারী বিচারের দাবি জানাচ্ছেন। অভিযুক্ত বাবুলাল স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অভিজিৎ মিত্র ওরফে বাপি মিত্রের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাই কি প্রশাসন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে না প্রশাসন সেই প্রশ্ন তুলছেন জল ব্যবসায়ী। যদিও অভিযুক্ত সৌরভ আইচ ওরফে বাবুলালের দাবি, তাঁকেও ওইদিন মারধর করা হয়। আর তিনি কোনও পুজো কমিটির সঙ্গে যুক্ত নন বলেও দাবি করেছেন, ফলে চাঁদা চাওয়ার কোনও ব্যাপারই নেই!