শরীরের যত্ন নিতে গেলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। শরীরচর্চার পাশাপাশি রোজকারের খাদ্যতালিকায় কী-কী রাখছেন, তার উপর নির্ভর করছে রোগের ঝুঁকি কতটা কমবে। দিনের শুরুতেই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিতে ভরপুর খাবার খাওয়া দরকার। বিশেষত খালি পেটে। অনেকেই খালি পেটে ভেজানো আমন্ড খান। আমন্ড ভিজিয়ে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে, আমন্ডই একমাত্র খাবার নয়, যেটা জলে ভিজিয়ে ও খালি পেটে খাওয়া যায়। আমন্ডের দাম অনেকটাই বেশি। সবার পক্ষে এই বাদাম খাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তাঁরা এই ৩ খাবারও জলে ভিজিয়ে খেতে পারেন আমন্ডের বদলে।
কিশমিশ: ভেজানো কিশমিশ এবং কিশমিশ ভেজানো জল দুটোই খেতে পারেন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। কিশমিশের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন রয়েছে। শারীরিক দুর্বলতা দূর করার পাশাপাশি দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কিশমিশ। আগের দিন রাতে ১০-১৫টা কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিশমিশটা খেয়ে নিন। জলটাও খেতে পারেন। এতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও এড়াতে পারবেন।
সবুজ মুগডাল: খালি পেটে জল খাওয়ার মতো উপকারিতা আর কিছুতেই নেই। ব্রেকফাস্টে খেতে পারেন ভেজানো সবুজ মুগডাল। কলা বেরোনো মুগডালের চাট বানিয়েও খেতে পারেন। সবুজ মুগডালের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি রয়েছে। ওজন কমানোর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে সবুজ মুগডাল।
মেথির বীজ: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি চুল ও ত্বকের সমস্যা কমাতে মেথির বীজ দারুণ উপযোগী। সকালবেলা খালি পেটে মেথি ভেজানো জল খেলে আর ওষুধ খেতে লাগবে না। এতে পেট ঠান্ডা থাকবে এবং বদহজমের সমস্যা এড়াতে পারবেন।