
শীতকাল মানেই ঠান্ডা হাওয়া, কম্বল আর গরম চায়ে চুমুক— তাই না? কিন্তু অনেকে এই সময়েও ঘেমে যান অস্বস্তিকরভাবে। বাইরে ঠান্ডা অথচ শরীরের গায়ে ঘাম। এই ব্যাপারটা অদ্ভুত লাগলেও এর পেছনে রয়েছে কিছু বাস্তব কারণ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, এই সমস্যাকে বলে হাইপারহাইড্রোসিস, অর্থাৎ অতিরিক্ত ঘাম হওয়া। কেন হয় এমনটা? নিম্নে তা নিয়ে আলোচনা করা হল।
শীতে একসঙ্গে সোয়েটার, জ্যাকেট, শাল — এইসব পরে নিলে শরীরের ভিতরে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে হয় ঘাম।
উদ্বেগ, চিন্তা বা মানসিক টেনশনে শরীরে অ্যাড্রিনালিন নিঃসৃত হয়, যা ঘামগ্রন্থিকে সক্রিয় করে তোলে। ফলে অতিরিক্ত ঘাম হয়।
শীতে ঝাল স্যুপ, আদা-গোলমরিচের চা এগুলো শরীরের ভেতরের তাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই অনেকের ঘাম হয় মুখ, গলা বা মাথায়।
থাইরয়েডের সমস্যা বা হরমোন পরিবর্তনের কারণে শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হয়, ফলে ঠান্ডাতেও ঘাম হয়।
রুম হিটার বা ব্লোয়ারে ঘরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঘাম উৎপন্ন করে।
কিছু ওষুধ যেমন অ্যান্টিডিপ্রেসান্ট বা হরমোনাল ড্রাগ শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলে। যার ফলে শরীরে ঘাম বাড়াতে পারে।
ডায়াবেটিস, লো ব্লাড সুগার বা জিনগত হাইপারহাইড্রোসিস থাকলে শীতেও ঘাম হওয়া স্বাভাবিক।
শীতে অস্বাভাবিক রকমের ঘাম হলে কী কী করণীয়?
শীতকালে ঘাম হওয়া সবসময় রোগের লক্ষণ নয়, বরং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। তবে যদি অতিরিক্ত ঘাম দৈনন্দিন জীবনে অস্বস্তি আনে, তা হলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই ভাল কাজ।