গরমকালে ত্বকের সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দেয়। ট্যান ছাড়াও সবচেয়ে বিরক্তিকর হয় ব্রণ। মুখের পাশাপাশি গায়েও ব্রণ বেরোয়। গরমে অনেকেরই পিঠ, বুক, ঘাড়ের মতো অংশে ব্রণ বেরোয়। মূলত ঘামের রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। এর জেরেই ব্রণ হয়। এছাড়াও গরমে ত্বক থেকে অতিরিক্ত সিবাম নিঃসৃত হয়। ঘাম, অতিরিক্ত তেল, জীবাণু সবই ব্রণ হওয়ার পিছনে দায়ী। কিন্তু প্রশ্ন হল, গায়ে হওয়া ব্রণর হাত থেকে নিস্তার মিলবে কোন উপায়ে? সেই সমাধান রয়েছে।
গরম জলে স্নান নয়: এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা সারাবছর গরম জলে স্নান করেন। কিন্তু গরমকালে এই ভুল করলে আপনারই বিপদ। গরম জলে স্নান করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। এতে ত্বকের জ্বালাভাব বাড়ে। পাশাপাশি দেহের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। গরমকালে ঠান্ডা জলে স্নান করাই ভাল। এতে ত্বকের সমস্যাও এড়ানো যায়। প্রয়োজনে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করতে পারেন।
নিম জলে স্নান করুন: ব্রণ হোক বা ঘামাচি, নিম জলে স্নান করলে গরমে ত্বকের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। নিমের মধ্যে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এটি ত্বককে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। ব্রণর উপর নিম পাতা বেটেও লাগাতে পারেন। এতে ব্রণর প্রদাহ কমবে।
স্নানের পর ময়েশ্চারাইজার মাখুন: গরমকালে বডি লোশন ব্যবহার করেন না? এটাই কিন্তু ভুল করেন। যতই ঘাম হোক কিংবা ত্বক তৈলাক্ত হোক, স্নানের পর ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনা জরুরি। তাই স্নানের শেষে হালকা ময়েশ্চারাইজার মাখুন। প্রয়োজনে অ্যালোভেরা জেলও মাখতে পারেন। এতে ত্বক হাইড্রেট থাকবে।
এক্সফোলিয়েশন জরুরি: সপ্তাহে অন্তত একদিন ত্বক এক্সফোলিয়েট করুন। এতে ত্বকের উপরিতলে জমে থাকা মৃত কোষ পরিষ্কার হয়ে যাবে। স্ক্রাব ব্যবহার করলে এটি ত্বকের গভীরে জমে থাকা ময়লা, জীবাণুও পরিষ্কার করে দেয়। এতে ব্রণর সমস্যাও কমে।
আরামদায়ক পোশাক পরুন: অনেক সময় আঁটোসাঁটো পোশাক পরলে ত্বকের উপর ঘাম জমতে থাকে। সেখানে জমা হতে থাকে ময়লা ও জীবাণু। এখান থেকে বাড়ে ব্রণর সমস্যাও। তাই এই গরমে সুতির ঢিলেঢালা পোশাক করুন। আরামদায়ক, হালকা জামাকাপড় পরলে সহজেই এড়াতে পারবেন ব্রণর সমস্যা।