Kali Puja Bhog: কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর, মায়ের পুজোয় আছে নানা রীতি! ভোগেও থাকে চমক
Kali Puja Bhog: কলকাতা ও তার আশেপাশেই আছে অনেক কালী মন্দির। সেই সব মন্দিরের ভোগেও আছে নানা বিশেষত্ব। মায়ের সেই ভোগ খেতেও ভিড় করেন ভক্তরা। আচ্ছা বাংলার কোন মন্দিরে কী ভোগ নিবেদন করা হয় দেবীকে?
1 / 8
তিনি শশ্মানবাসিনী। তাঁর হাতে থাকে খড়্গ। গলায় মুণ্ডমালা। তাঁর পদতলে থাকেন মহাদেব। তিনিই আদি শক্তি মহামায়ার রুদ্র রূপের প্রতীক দেবী কালিকা। আর ক'দিন বাদে দিকে দিকে পূজিত হবেন তিনি। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে প্রায় সারা রাত জুড়ে চলে মাতৃ আরাধনা। ভক্তের ঢল নামে মন্দিরে মন্দিরে।
2 / 8
কলকাতা ও তার আশেপাশেই আছে অনেক কালী মন্দির। সেই সব মন্দিরের ভোগেও আছে নানা বিশেষত্ব। মায়ের সেই ভোগ খেতেও ভিড় করেন ভক্তরা। আচ্ছা বাংলার কোন মন্দিরে কী ভোগ নিবেদন করা হয় দেবীকে?
3 / 8
তারাপীঠ - মায়ের পাগল ছেলে বামা। তাঁর দৌলতেই রমরমা মায়ের এই মন্দিরের। সারা বছর বহু মানুষ ভিড় করেন তারাপীঠে। দেবী এখানে মা তারা রূপে পূজিত হন। সারা বছর নানা ব্যঞ্জন সাজিয়ে নিবেদন করা হয় মা'কে। কালী পুজোর দিনেও থাকে বিশাল আয়োজন। সকালে নিবেদন করা হয় অন্নভোগ। থাকে পোলাও, খিচুড়ি এবং সাদা ভাত। সঙ্গে পাঁচ রকম ভাজা, তিন রকম তরকারি। চারাপোনা, কাতলা, রুই-সহ বিভিন্ন মাছ রান্না করে নিবেদন করা হয়।
4 / 8
তান্ত্রিক মতে নিবেদিত বলির পাঁঠার মাংস কারণবারি সহযোগে নিবেদন করা হয় তারা মা'কে। পায়েস, চাটনি, দই, এবং পাঁচ রকম মিষ্টিো থাকে ভোগে। রাতের ভোগে প্রধানত থাকে খিচুড়ি। প্রায় দেড় কুইন্টাল খিচুড়ি রান্না করা হয়। এছাড়াও থাকে পাঁচ রকম সবজির ভাজা, তরকারি, শোল মাছ পোড়া, ও বলি-দেওয়া পাঁঠার মাংস। কারণবারি থাকবেই। মন্দির কতৃপক্ষ ছাড়াও মায়ের কাছে ভোগ নিবেদন করেন অনেক ভক্তরাও।
5 / 8
কালীঘাট - খাস কলকাতায় মায়ের এই মন্দির শক্তিপীঠ হিসাবে বেশ খ্যাত। নিত্য কালীপুজোর সঙ্গে লক্ষ্মীপুজোও করা হয় মায়ের মন্দিরে। কালী পুজোর দিন যে পালাদার ভোগের দায়িত্বে থাকেন, তাঁরাই ভোগের সব খরচ বহন করেন। কালীঘাট মন্দিরে প্রায় ৬০০ সেবায়েত রয়েছেন। কালীপুজোর দিন দায়িত্বপ্রাপ্ত পালাদার-সহ আরও প্রায় শ'দেড়েক সেবায়েত ভোগ নিবেদন করেন।
6 / 8
অমাবস্যা তিথি শুরু হওয়ার আগে মা কালীকে একপ্রস্ত ভোগ দেওয়া হয়। কালী পুজোয় মায়ের ভোগে থাকে শুক্তো, পাঁচ রকমের ভাজা যেমন- আলু, বেগুন, পটল, উচ্ছে অথবা করলা, ও কাঁচকলা ভাজা, পোলাও। থাকে তিন রকম মাছ রুই, ইলিশ, চিংড়ির পদ, কচি পাঠার মাংস, চাটনি ও পায়েস। শেষ পাতে মুখসুদ্ধি হিসাবে থাকে পান ও জল।
7 / 8
দক্ষিণেশ্বর - ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের স্মৃতি বিজড়িত দক্ষিণেশ্বর। দেবী এখানে পূজিত হন ভবতারিণী রূপে। যদিও অনেকেই জানেন না ভবতারিণী রূপের কথা উল্লেখ নেই কোনও নথিতেই। পন্ডিত রামকুমার চট্টোপাধ্যায় যে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তা লিপিবদ্ধ রয়েছে শ্রী শ্রী জগদীশ্বরী কালীমাতা ঠাকুরানী নামেই।
8 / 8
দেবীর ভোগেও আছে নানা বিশেষত্ব। অন্নভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয় ভাত ও ঘি ভাত। থাকে পাঁচ রকম তরকারি, পাঁচ রকমের ভাজা ও পাঁচ রকমের মাছ। সঙ্গে থাকে চাটনি, পায়েস এবং পাঁচ রকমের মিষ্টি। বিকেলের ভোগে থাকে নানা রকমের ফলের সম্ভার। এক সময় বলি প্রথা থাকলেও, বহু কাল তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই মায়ের ভোগে থাকে না কোনও মাংস। আজও শ্রী রামকৃষ্ণ যেভাবে পুজো করতেন সেই ভাবেই আরাধনা করা হয় দেবীর।