কেরিয়ার, দাম্পত্য, শিক্ষা নিয়ে নানা মত নানা পথ। সঠিক উপায়ে পথ বাতলে দেওয়াই হল চাণক্যনীতির প্রথম ও শেষ উদ্দেশ্য। তাই জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্তে যাওয়ার আগে অবশ্যই চাণক্য নীতি জেনে নেওয়া ভাল। কথিত আছে, চাণক্য নীতি মেনে চললে জীবনে উন্নতি আবশ্যিক। শুধু জীবনের শিক্ষা নয়, দাম্পত্যজীবনকে সুখকর করে তুলতেও চাণক্যের বাণীগুলি পদে পদে কাজে লাগতে পারে। বিনোদন জগতে একের পর এক দাম্পত্যে ফাটল ধরার পিছনেও রয়েছে এক কূটনীতি। সেই নীতিকে জয় করার কৌশল উল্লেখ রয়েছে এই নীতিকথায়। দাম্পত্য জীবনকে সুখী রাখতে চাণক্য বেশ কিছু বিষয় পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলি মেনে চললে বৈবাহিক জীবন কখনও কঠিন বলে মনে হবে না।
সম্পর্কের মধ্যে যদি সামান্যতম ফাটলও দেখা দিলে, দীর্ঘকাল সেই সম্পর্কটা ধরে রাখা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। একই সময়ে, বিবাহের সম্পর্ক খুবই স্পর্শকাতর। এই সম্পর্কের মাধুর্য বজায় রাখতে, অনেক কিছুর বিশেষ যত্ন নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। দুটি মানুষকে একে অপরকে চিনতে সময় দিতে লাগে। সুখের বন্যা আনতে অনেক কিছু ত্যাগও করতে হয় দুটি ভিন্ন মানুষকে। দাম্পত্য জীবনকে সুখী রাখার অনেক ব্যবস্থার কথাও বলেছেন চাণক্য। তাই বিয়ের পরে নয়, বিয়ের আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত।
চাণক্যের মতে, বৈবাহিক জীবনেও যদি ফাটল বা চিড় দেখা দিতে শুরু করে তবে তার আগে থেকে কেন সতর্ক হবেন না। আসলে, আচার্য চাণক্য আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। বিয়ের আগে ভবিষ্যতের সঙ্গীকে অবশ্যই তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা উচিত । তাতে বিবাহের পর যেন কোনও ভাবেই সেই পবিত্র সম্পর্কে চিড় না ধরে।
সঠিক বয়স জিজ্ঞাসা করতে ভুলবেন না
আচার্য চাণক্যের নীতিশাস্ত্র অনুসারে, বিয়ের আগে অবশ্যই ভবিষ্যতের সঙ্গীর বয়স জিজ্ঞাসা করা উচিত। আসলে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য ও তাদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব দাম্পত্য ভাঙ্গন ধরার অন্যতম কারণ। উভয়ের মধ্যে বোঝাপড়া না থাকলে মারামারিও হতে পারে। এই কারণেই স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান বেশি হওয়া উচিত নয়,তাতে দাম্পত্য কলহের কখনও শেষ হবে না।
স্বাস্থ্য সম্পর্কে তথ্য
আচার্য চাণক্যের নীতিশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে বিয়ের আগে হবু সঙ্গীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জেনে নেওয়া উচিত। কোনও শারীরিক বা মানসিক সমস্যা আছে কিনা তা পরিষ্কার করে জেনে নেওয়া উচিত। তাতে ভবিষ্যতে উভয়কেই সমস্যায় পড়তে হয় না।
পুরনো সম্পর্ক
আচার্য চাণক্য বিশ্বাস করেন যে বিয়ের আগে হবু সঙ্গীর অতীত সম্পর্ক নিয়ে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করা বা জানা উচিত। সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বললে ভবিষ্যতের বিবাহিত জীবনের জন্য অনেক ভাল ও সুখের হতে পারে।