নয়াদিল্লি: কিছু করে দেখানোর জেদ, জেতার খিদে আজও একইরকম রয়েছে। তেমনই ধরে রেখেছেন ফিটনেস। একটা উদাহরণ দিই। ছেলেদের সিঙ্গলস ম্যাচের ফাইনালে শরথ কমলের (Sharath kamal) প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড লিয়াম পিচফোর্ড ২৯ বছরের। কৌশলগত বা অভিজ্ঞতার দিক থেকে না হোক, গতির দিক থেকে চল্লিশ বছরের শরথকে পিছনে ফেলতেই পারতেন। মিক্সড ডাবলসে (Mixed Doubles) সোনা জিতলেন সৃজা আকুলাকে নিয়ে। ২৪ বছরের তরুণীর সঙ্গে গতিতে সমানভাবে তাল মিলিয়ে চললেন। একটিবারের জন্যও মনে হল না জুটির একজন তেইশ বছরের অন্যজন চল্লিশের। কীভাবে সম্ভব এই ফিটনেস ধরে রাখা! শরথের সাকসেসফুল কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth Games 2022) অভিযানে বাক্যহারা নেটিজেনরা।
বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে শরথ কমলের সাফল্য
কমনওয়েলথ গেমসের এখনও পর্যন্ত তাঁর সেরা সাফল্য। হতে পারে শরথের এটাই শেষ কমনওয়েলথ গেমস। ২০২৬ ভিক্টোরিয়া কমনওয়েলথের সময় তাঁর বয়স দাঁড়াবে ৪৪ বছর। শরথের কথায়, “আমার ৪০ বছরের জীবনের সেরা দুটো সপ্তাহ কাটালাম। এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না। মেনস ডাবলসে সোনা হতে পারত। যা হয়েছে তাতেই আমি খুশি। এর থেকে বেশি আশা করি না।” চারটির মধ্যে কোন মেডেলটা সবথেকে প্রিয়? একটুও না ভেবে শরথ বলে দিলেন, “ছেলেদের টিম ইভেন্টের সোনার পদক। প্রথম মেডেলটার গুরুত্ব অনেক। এটা আত্মবিশ্বাস এবং ধারাবাহিকতা দুটোই দেয়। না জিতলে বিষয়টা এত সহজ হত না।”
২০০৬ সালের মেলবোর্ন থেকে বাইশের বার্মিংহ্যাম। শরথের কমনওয়েলথ গেমসের ১৩টি পদক নিয়ে সিঙ্গপুরের ফেং তিয়ানওয়েইর সঙ্গে একাসনে তারকা প্যাডলার। কেমন লাগছে দেশের সেরা টেবল টেনিস খেলোয়াড় হয়ে। শুনে বললেন, “গর্বিত মনে হয় নিজেকে। শুনতে ভালো লাগে। শরথ কমল এবং কমনওয়েলথ গেমস পাশাপাশি একসঙ্গে চলে। আমরা এখন খেলার গুরুত্বটা বুঝতে পেরেছি এবং এর উন্নতি হচ্ছে। আমাদের পারফরম্যান্স তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।”