রঞ্জি ট্রফিতে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় মাত্র ১ পয়েন্ট এসেছিল বাংলার ঝুলিতে। কল্যাণীতে বিহারের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ হলে বাংলা হয়তো ভালো জায়গায় থাকতে পারত। কেরল ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হয় কল্যাণী থেকে। সল্টলেক যাদবপুর ক্যাম্পাসে অবশেষে দ্বিতীয় দিন মাঠে নামে বাংলা। মাত্র ১৫.১ ওভার খেলা হলেও বাংলা শিবিরে ব্যাপক স্বস্তি ছিল। ৫১-৪ স্কোরে দিন শেষ করেছিল কেরল। কিন্তু ম্যাচের তৃতীয় দিন বাংলা শিবিরে সেই অস্বস্তিই থাকল। এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্টের বেশি প্রত্যাশা করাই ভুল। বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে হয়তো ১ পয়েন্টেও জুটতে পারে। বাংলার বাধা কেরলের লোয়ার অর্ডার।
রবিবার শেষ সেশনে বাংলা বনাম কেরল ম্যাচ শুরু হয়েছিল। ঈশান পোড়েলের তিন এবং প্রদীপ্ত প্রামাণিকের এক উইকেট। ৫১-৪ স্কোরে তৃতীয় দিন শুরু করে কেরল। বাংলার প্রত্যাশা ছিল, দ্রুত কেরল ইনিংস গুটিয়ে বোর্ডে বড় রান তোলা এবং এরপর সরাসরি জয়ের জন্য ঝাঁপানো। ভাবনা এবং বাস্তবের মধ্যে যে কতটা অমিল তা এই ম্যাচেই পরিষ্কার। কেরল ক্যাপ্টেন সচিন বেবি ও অক্ষয় চন্দ্রন বড় জুটি গড়েন। বাংলার পেসার ঈশান পোড়েল এই দুজনকেও ফেরান। মাত্র ৮৩ রানেই ৬ উইকেট ফেলে দেয় বাংলা। এরপরই রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে অন্যতম ধারাবাহিক ক্রিকেটার জলজ সাক্সেনার দাপট।
মাত্র ৮৩ রানে ৬ উইকেট ফেলে দেওয়ার পর বাংলা শিবিরে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল। কিন্তু জলজ ও সলমন নিজার জুটি সেই আত্মবিশ্বাস ভেঙেচুরে দেয়। অবশেষে ২২৩ রানে জুটি ভাঙেন সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। ব্যক্তিগত ৮৪ রানে ফেরেন জলজ। এখানেই শেষ নয়। সলমনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ক্রিজে রয়েছেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তৃতীয় দিনের শেষে কেরলের স্কোর ৭ উইকেটে ২৬৭। সলমন নিজার ৬৪ এবং আজহারউদ্দিন ৩০ রানে ক্রিজে রয়েছেন। ম্যাচের শেষ দিন একটাই প্রশ্ন। আদৌ দু-দলের প্রথম ইনিংস শেষ হবে তো! সেটা না হলে ১ পয়েন্ট মিলবে। কেরলকে দ্রুত আউট করে বাংলা লিড নিতে পারলে তবেই ৩ পয়েন্টের সম্ভাবনা। ঈশান পোড়েল পাঁচ উইকেট নিলেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কেরলের লোয়ার অর্ডার।