কলকাতা নাইট রাইডার্স ১২৮ (১৮.৫ ওভারে)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ১৩২-৭ (১৯.২ ওভারে)
মুম্বই: কম রানের পুঁজি নিয়েও ম্যাচ জেতা যায়। কিন্তু তার জন্য প্রাণপাত করে দিতে হয় বোলারদের। আরসিবির (RCB) বিরুদ্ধে আইপিএলে (IPL 2022) নাইটদের দ্বিতীয় ম্যাচেই হারের মুখ দেখতে হল। দু’প্লেসিদের মুঠো থেকে ম্যাচ বের করার চেষ্টা করেছিলেন উমেশ-সাউদিরা। কিন্তু তা আর পারলেন কই। আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই চেন্নাইকে হারানোর ফলে কোথাও একটা কি আত্মতুষ্টি কাজ করছিল নাইটদের মধ্য়ে? কেকেআর (KKR) সমর্থকদের মনে প্রশ্নটা জাগতেই পারে। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ছাপ রেখে গেলেন ভানিন্দু হাসারঙ্গা এবং ফিনিশার দীনেশ কার্তিক।
That's that from Match 6 of #TATAIPL.
A nail-biter and @RCBTweets win by 3 wickets.
Scorecard – https://t.co/BVieVfFKPu #RCBvKKR #TATAIPL pic.twitter.com/2PzouDTzsN
— IndianPremierLeague (@IPL) March 30, 2022
১০ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ভানিন্দু হাসারঙ্গাকে যখন আরসিবি মেগা নিলামের মঞ্চ থেকে দলে ফিরিয়েছিল, তখন প্রশ্ন উঠেছিল, লঙ্কান ক্রিকেটার কতটা সাফল্য দিতে পারবেন আরসিবিকে। তার প্রমাণটা হাসারঙ্গা দিলেন এ বারের আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচেই। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে হয় কেকেআরকে। প্রথম ম্যাচের মতো এ দিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ভেঙ্কটেশ আইয়ার (১০)। যদিও চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে নাইটদের আর এক ওপেনার অজিঙ্ক রাহানে ভরসা দিয়েছিলেন, আজ তাঁর ব্যাটও জ্বলে ওঠেনি। হাসারঙ্গা-সিরাজ-আকাশদীপদের দাপটে তাসের ঘরের মতো ধ্বসে পড়ে নাইটদের ব্যাটিং। কোনও ক্রিকেটার ব্যাক্তিগত ৩০ রানও করতে পারেননি। ক্যাপ্টেন আইয়ারের ব্যাটও আজ নিষ্প্রভ। মাত্র ১৩ রান করে ভানিন্দু হাসারঙ্গার শিকার হন শ্রেয়স। এর পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট খোয়াতে থাকে নাইটরা। ১০ রান করে আকাশদীপকে উইকেট দেন নীতিশ রানা। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে কেকেআর। এরপর নাইটদের ওপর ক্রমাগত চাপ তৈরি করতে থাকেন হাসারঙ্গা-হর্ষলরা। নারিন-রাসেলকে বিদ্ধংসী হয়ে ওঠার আগেই ফেরত পাঠান হাসারঙ্গা-হর্ষলরা। ১২ রান করেন নারিন, ১৪ রান এসেছে স্যাম বিলিংসের ব্যাট থেকে। আর নাইটদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন রাসেল (২৮)। তবে ১২৯ টার্গেটটা মোটেও কঠিন ছিল না আরসিবির মতো হেভিওয়েট দলের সামনে।
তাও শুরুটা ভালো করেছিলেন উমেশ যাদবরা। আরসিবির ওপেনার অনুজ রাওয়াতকে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ফেরান উমেশ। দ্বিতীয় ওভারে দু’প্লেসিকে ফেরান টিম সাউদি। তৃতীয় ওভারে আবার উইকেট প্রাপ্তি হয় উমেশের। এ বার তিনি বিরাট কোহলির বড় উইকেট নেন। পর পর তিন ওভারে তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে আরসিবির ওপর কিছুটা চাপ তৈরি করেছিল কেকেআর। কিন্তু প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা করতে থাকেন ডেভিড উইলি ও শেরফান রাদারফোর্ড। শেষ মেশ এই জুটিকে ভাঙেন নারিন। কিন্তু ততক্ষণে আরসিবি মোটামুটি ভালো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। ১৮ রান করে উইলি মাঠ ছাড়েন। এর পর রাদারফোর্ডকে সঙ্গ দিতে থাকেন বাংলার শাহবাজ আহমেদ। সেই জুটিকে ভাঙার কাজটি করেন নাইটদের মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। ২৭ রান করে আউট হন শাহবাজ। এর পর রাদারফোর্ডকে (২৮) ফেরান সাউদি। শেষ বেলায় আরসিবিকে জেতানোর দায়িত্ব গিয়ে পড়ে দীনেশ কার্তিকের কাঁধে। তাঁর সঙ্গে অপর প্রান্তে ছিলেন হর্ষল প্যাটেল। শেষ ওভারে আন্দ্রে রাসেলকে পর পর একটি ছয় ও চার মেরে জেতান কার্তিক। ৪ বল বাকি থাকতেই কাঙ্খিত জয় তুলে নেয় আরসিবি। ৭ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ডিকে। ১০ রানে নট আউট থাকেন হর্ষল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: কলকাতা ১২৮ (আন্দ্রে রাসেল ২৫, উমেশ যাদব ১৮, হাসারঙ্গা ৪-২০, আকাশদীপ ৩-৪৫)। ব্যাঙ্গালোর ১৩২-৭ (শেরফান রাদারফোর্ড ২৮, শাহবাজ আহমেদ ২৭, উমেশ ২-১৬, সাউদি ৩-২০)।