কলকাতা: সময়টা একেবারে ভালো যাচ্ছিল না। বিরাট কোহলি ছুটিতে। লোকেশ রাহুল চোটে। একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার টিমে। কিন্তু অধিনায়ক ভরসা দিতে পারছিলেন না। ২৪, ৩৯, ১৪, আর ১৩ ছিল প্রথম দুটো টেস্টে। চাপের মুখে কি খেলতে পারছেন না? এই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছিলেন কেউ কেউ। হায়দরাবাদ, বিশাখাপত্তনমে পারেননি। রাজকোটে রাজকীয় সেঞ্চুরি রোহিত শর্মার। একটা সময় তিনটে উইকেট পড়ে গিয়েছিল পর পর। যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমন গিল, রজত পাতিদার ফিরেছেন পর পর। ইংলিশ শিবিরে খোঁজ চলছিল তাঁর উইকেটের। কিন্তু রোহিত চাননি ফাঁদে পা দিতে। সাধারণত আগ্রাসী ব্য়াটিং করেন। বিপক্ষের উপর চাপ রাখেন। রাজকোটে অন্য রোহিতের (Rohit Sharma) দেখা মিলল। চাপ নিলেন নিজের উপরেই। ধৈর্য ধরে সামলালেন মার্ক উড, জেমস অ্যান্ডারসন, টম হার্টলিকে। খারাপ বলের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে কেরিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি করে ফেললেন রোহিত শর্মা।
ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেনের দুরন্ত সেঞ্চুরির সঙ্গে খানিকটা পুরনো ভারতের দেখা মিলল। রাজকোটে জোড়া অভিষেক হয়েছে। শুরুতে যশস্বী, গিল, রজতের মতো তরুণদের হারানোর পর রোহিত ক্রিজে সময় কাটাতে চেয়েছিলেন। যাতে সরফরাজ খান, ধ্রুব জুরেলদের মতো নতুন মুখেদের চাপে পড়তে না হয়। রোহিতকে সঙ্গ দিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। ঘরের মাঠে তিনিও হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। সবচেয়ে বড় কথা হল, এই সিরিজে প্রথম বার সেঞ্চুরির পার্টনারশিপ হল। ১৮২ বলে জুটিতে ১০০ রান করেন রোহিত-জাডেজা।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোম সিরিজের রোহিতের এই সেঞ্চুরি অন্য কারণেও গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের মাঠে এক বছর পর সেঞ্চুরি। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নাগপুরে ১২০ করেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গত বছর জুলাই মাসে ছিল শেষ টেস্ট সেঞ্চুরি। রাজকোটে প্রথম বার খেলতে নামলেন রোহিত। অভিষেক ম্যাচ স্মরণীয় রাখলেন সেঞ্চুরিতে। শুরুতে খানিকটা মন্থর থাকলেও যত সময় গড়িয়েছে তত সাবলীল হয়েছেন রোহিত। ১৪টা চার, ৩টো ছয় দিয়ে সাজিয়েছেন সেঞ্চুরির ইনিংস। ১৩১ রান করে মাঠ ছাড়েন হিটম্যান। তবে রোহিতও জানেন, এই সেঞ্চুরিতেই কাজ শেষ হচ্ছে না। তৃতীয় টেস্টে যদি সিরিজ ২-১ করতে হয়, তা হলে বড় রানে পৌঁছতে ভারতকে।