বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ফিরছেন মহম্মদ সামি? বোর্ডের তরফে ঘোষণা হয়নি। তবে সামি আরও এক ধাপ এগোলেন বলাই যায়। দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল। রঞ্জি ট্রফিতে কামব্যাক ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। তাঁর ফিটনেস নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা ছিলই। সে কারণেই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে তাঁর উপর নজর রয়েছে বোর্ডের মেডিক্যাল টিমেরও। এ দিন বিহারের বিরুদ্ধে অনবদ্য বোলিং। বাংলা জিতল ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
রাজকোটে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে এ দিন বিহারের বিরুদ্ধে নেমেছিল বাংলা। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন বাংলা অধিনায়ক সুদীপ ঘরামি। সুযোগটা কাজে লাগালেন মহম্মদ সামিও। শুরু থেকেই ইকোনমিকাল স্পেল। শেষ অবধি কোটার চার ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ১ উইকেট। ৪ ওভারে ১৫টি ডট বল। ইকোনমি ৪.৫০! টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এমন ইকোনমি দুর্লভ। গত কয়েক ম্যাচে ভালো বোলিং করলেও উইকেট আসছিল না। বিহারের বিরুদ্ধে উইকেটও নেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে মাত্র ১৪৭ রান করে বিহার।
বোর্ডে টার্গেট ১৪৮। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি বাংলার। ধারাবাহিক ভালো খেলা অভিষেক পোড়েল ফেরেন ১০ বলে ১৯ রান করেই। এর মধ্যে চারটি বাউন্ডারি। আর উইকেট হারায়নি বাংলা। মাত্র ১৪ ওভারেই লক্ষ্যপূরণ। আর এক ওপেনার করণ লাল ৪৭ বলে অপরাজিত ৯৪ করেন। ৯টি বাউন্ডারি এবং আধডজন ওভার বাউন্ডারিও মারেন। অন্য দিকে, তিনে নেমে ক্যাপ্টেন সুদীপ ঘরামি ২৭ বলে ৩২ রানে অপরাজিত।
সৈয়দ মুস্তাক আলিতে আলোচনায় সামির ফিটনেসই। চোট সারিয়ে ফেরার পর ফের একবার আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে অস্বস্তিতে দেখায় সামিকে। বিহারের বিরুদ্ধে তাঁর বোলিং, ফিটনেস সবেতেই আশার আলো।