মহাকাশের বিভিন্ন ছবি আজকাল ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে মার্কিন স্পেস এজেন্সি। সেই তালিকারই নতুন সংযোজন আমাদের গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের একটি ভায়োলেন্ট বা হিংসাত্মক রূপ। কিন্তু ভায়োলেন্ট কেন? এই ছবি দেখার পর বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পরী-নিরীক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে জানিয়েছেন, এটি আমাদের গ্যালাক্সির একটি সুপার-এনার্জাইড ‘ডাউনটাউন’- এর ছবি।
জানা গিয়েছে, গত দু’দশক ধরে অরবিটিং চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরির ৩৭০টি অবজারভেশনকে একত্রিত করে এই গ্যালাক্সি ইমেজ তৈরি হয়েছে। লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র, অসংখ্য ব্ল্যাক হোল রয়েছে এই মনোমুগ্ধকর ছবির কেন্দ্রে। বলা যায় এগুলোই এই ছবিটির হৃদয়। আর এই অসাধারণ ছবিটি মিল্কি ওয়ের কেন্দ্রবিন্দু। দক্ষিণ আফ্রিকার একটি টেলিস্কোপের (MeerKAT radio telescope) সাহায্যেও পর্যবেক্ষণ চালানো হয়েছিল তাই এই ছবি তৈরিতে ওই টেলিস্কোপের অবদানও অনস্বীকার্য।
Unravel the threads of superheated gas and magnetic fields that make up the tapestry of energy of our Milky Way galaxy. ?
A new image from @ChandraXray brings to life the giant mosaic of data that weaves together this cosmic masterpiece. Discover more: https://t.co/UJZMMDe2Zg pic.twitter.com/jkNgFXk2z2
— NASA (@NASA) May 27, 2021
Massachusetts Amherst বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ ড্যানিয়েল ওয়াং জানিয়েছেন, বিগত এক বছর ধরে এই ছবিতে থাকা ছায়াপথের বিভিন্ন বিস্ময়কর নক্ষত্র ও অন্যান্য উপাদান নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। করোনা আবহে ঘরবন্দি থাকাকালীন এই কাজই করেছেন বলে জানিয়েছেন ড্যানিয়েল। তাঁর কথায়, এই ছবিতে আলোক বিচ্ছুরিত যে অংশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তা আসলে আমাদের গ্যালাক্সির কোনও ডাউনটাউনের একটি ভায়োলেন্ট বা এনার্জেটিক ইকোসিস্টেম। সোজা ভাষায় বললে, যদি ধরে নেওয়া হয় যে ছায়াপথের এমন একটি শহুরে এলাকা রয়েছে, যেখানে উত্তেজনাপূর্ণ বা হিংসাত্মক কিছু হচ্ছে… সেটাকেই আলোক বিচ্ছুরণের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘নেভিগেশন এরর’, নাসার পাঠানো মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity- র ষষ্ঠ উড়ানে গন্ডগোল
আমাদের গ্যালাক্সির এই ভায়োলেন্ট এনার্জেটিক ইকোসিস্টেমে রয়েছে অসংখ্য অতি শক্তিশালী উপাদান (supernova remnants), ব্ল্যাকহোল এবং নিউট্রন স্টার। প্রতিটি এক্স-রে ডট বা ফিচারের সাহায্যে আসলে একটি এনার্জেটিক সোর্স বোঝানো হচ্ছে। আর বেশিরভাগ এনার্জেটিক সোর্সের অবস্থানই দেখা গিয়েছে এই ছবির কেন্দ্রস্থলে। ১৯৯৯ সালে যে অরবিট বা উপগ্রহ চন্দ্র লঞ্চ হয়েছিল, তার দু’দশকের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই এই ছবি প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে।