Weddell Seals: আন্টার্কটিকার বরফের নীচে হিমশীতল জলে অভিযান চালাবে সিল মাছ! অভিনব উদ্যোগ জাপানের গবেষকদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sohini chakrabarty

Mar 01, 2022 | 8:31 PM

Weddell Seals: সিল মাছের (Seals) মাথায় পরানো থাকবে মনিটরিং ডিভাইস (Monitoring Device)। তার সাহায্যেই জলের উষ্ণতা, লবণতার মতো তথ্য সংগ্রহ করে আনবে ওইসব সিল মাছ।

Weddell Seals: আন্টার্কটিকার বরফের নীচে হিমশীতল জলে অভিযান চালাবে সিল মাছ! অভিনব উদ্যোগ জাপানের গবেষকদের
সিল মাছের মাথায় লাগানো রয়েছে মনিটরিং ডিভাইস।

Follow Us

সিল মাছের মাথায় লাগানো রয়েছে হেলমেট (seal wearing a helmet)। তার মধ্যে আবার রয়েছে অ্যান্টেনা। সচরাচর এমন দৃশ্য একেবারেই দেখা যায় না। কিন্তু এবার এমনটাই করা হচ্ছে সিল মাছদের সঙ্গে। সম্প্রতি ৮টি সিল মাছের (Weddell seals) মাথায় এরকম অ্যান্টেনা লাগানো হেলমেট দেখা গিয়েছে। কিন্তু কেন তাদের মাথায় লাগানো হয়েছে এই মনিটরিং ডিভাইস (monitoring device)? জানা গিয়েছে, ৫৮০ গ্রামের এই মনিটরিং ডিভাইসের সাহায্যে এবার থেকে সিল মাছেরাই মেরুপ্রদেশের বরফের নীচে লুকিয়ে থাকা নানা অজানা এবং রহস্যজনক তথ্য সংগ্রহ করে আনবে। জাপানের গবেষকদের দলকে তাঁদের গবেষণার কাজে সাহায্য করবে এই আটটি সিলমাছ। আর সেই জন্যই তাদের মাথায় লাগানো হয়েছে ওই অ্যান্টেনা সমেত হেলমেট।

আন্টার্টিকার পুরু বরফের স্তরের নীচে অভিযান চালানো মোটেই সহজ কাজ নয়। মানুষের পক্ষে ওরকম হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো বেশ কষ্টসাধ্য। আর সেই জন্যই সাহায্য নেওয়া এই সিলমাছদের। জানা গিয়েছে, ওই জাপানি গবেষকদের দল আন্টার্কটিকার পুরু বরফের স্তরের নীচে থাকা জলের মধ্যেই গবেষণা চালাবেন। ২০১৭ সালের মার্চ থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে আন্টার্কটিকার হিমশীতল জলের নীচে পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছিলেন ওই জাপানি গবেষকের দল। সেখানেই জলের নীচে নামানো হয় আটটি সিল মাছকে। তাদের মাথায় লাগানো ছিল অ্যান্টেনা সমেত হেলমেট। ওই মনিটরিং ডিভাইসের মধ্যে পরিবাহিতা, তাপমাত্রা এবং গভীরতা মাপার সেনসর লাগানো ছিল। এইসব ফিচারের সাহায্যেই বৈজ্ঞানিকরা জলের তাপমাত্রা এবং লবণতার পরিমাণের মতো বিষয় অত কঠিন আবহাওয়ার পরিস্থিতিতেও মাপতে পেরেছিলেন। অর্থাৎ সঠিক তথ্য এসে পৌঁছেছিল বিজ্ঞানীদের কাছে।

জাপানের ওই গবেষক দলের প্রধান Nobuo Kokubun জানিয়েছেন, এই ধরনের গবেষণার ফলে বিজ্ঞানীরা জীবজন্তুদের ব্যবহারের পরিকাঠামো এবং ইকোলজি বুঝতে সহায়তা করে। ওই গবেষক আরও জানিয়েছেন যে গরমের সময় আন্টার্কটিকায় গিয়ে গবেষণার কাজ শুরু করা সম্ভব। আইসব্রেকারের সাহায্যে বরফ ভেঙে আসল তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। কিন্তু শীতকালে এটা সত্যিই খুব সমস্যার। কারণ প্রবল ঠাণ্ডায় বরফের নীচে সঞ্চিত জল থেকে কোনওভাবেই তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। আর শীতের সময় আইসব্রেকার নিয়েও বিশেষ লাভ হবে না। একাধিক জায়গায় একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। আর তাই অন্য কোনও উপায়ের কথা ভাবছিলেন গবেষকরা। আর তখনই মাথায় আসে সিল মাছদের কথা।

আন্তার্টিকার তীব্র ঠাণ্ডাতেও দিব্যি বহাল তবিয়য়েই বসবাদ করে এই সিল মাছরা। তাই তাদের সাহায্যে তথ্য সংগ্রহের কথা ভেবেছিলেন Nobuo Kokubun। সেই মতোই শুরু হয় মনিটরিং ডিভাইস তৈরির কাজ। তারপর তা মাথায় পরিয়ে সিল মাছদের পাঠানো হয় পুরু বরফের স্তরের নীচে থাকা জলের মধ্যে। সেখান থেকে সফল ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে এনেছিল সিল মাছরা। আন্টার্টিকায় রয়েছে জাপানের শো স্টেশন। সেখানে থেকে প্রায় ৬৩৩ কিলোমিটার সফর করেছিল একটি সিল মাছ। আর একটি সিল মাছ আবার জলের নীচে গিয়েছিল প্রায় ৭০০ মিটার গভীরে।

আরও পড়ুন- Tiny Robots: এবার চাঁদে যাবে পাঁচটি ক্ষুদ্র রোবট! বৈজ্ঞানিক উপায়ে পর্যবেক্ষণ চালাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে

Next Article