Bangladeshi Issue, Kolkata: ‘জমি মাফিয়ার মাৎস্যন্যায়’, কলকাতার গুলশনে বাংলাদেশি নাগরিক?
Bangladesh Issue, Kolkata: ক’দিন আগেই একটা ছবি দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা বাংলা। ভর সন্ধেয় খোলা রাস্তায় খুনের চেষ্টা কাউন্সিলরকে। কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে পড়ল কেউটে। জমি জবরদখলের বেআইনি কারবার। অনুপ্রবেশকারীদের আস্তানা। আইনকানুন শিকেয় তোলা গুলশন কলোনি। আরও কত অপরাধের আঁতুরঘর বাইপাস-লাগোয়া এলাকা? অন্তর্তদন্তে TV9 বাংলা।
মুম্বই আর গ্যাং ওয়ারের ছবি যেন রিল লাইফ থেকে উঠে এসেছে রিয়েল লাইফে। আমাদের শহরে। আমাদের রাজ্যে। কেন টার্গেট হলেন শাসক দলের কাউন্সিলর? নেপথ্যে কি জমি লুটের অঙ্ক? বেআইনি নির্মাণেই কি লুকিয়ে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের হিসেবে নিকেশ? কোন কোন প্রশ্ন তুলে দিল কসবার এই ঘটনা? গ্রাউন্ড জিরোয় TV9 বাংলার অন্তর্তদন্ত। আজকের TV9 বাংলা নিউজ সিরিজ ‘জমি মাফিয়ার মাৎস্যন্যায়’।
১৫ নভেম্বর, ২০২৪, শুক্রবার সন্ধেবেলায় কসবার রাজডাঙা ক্রসিঙের কাছেই নিজের বাড়ির সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ, তাঁর স্ত্রী ও তাঁর বন্ধু। আর সেখানেই হল হামলা। TV9 বাংলা সেই লোকেশনে পৌঁছতেই কিভাবে বের হল ঝুলির মধ্যে থেকে বেড়াল।
দেদার নির্মাণই কী জমি হাঙরদের টেনে আনলো শহরের পূর্বদিকে? চলল দেদার দখলদারির খেলা? বদলে গেল রাজনীতি। সেই বদলের ছবিটাই যেন আরও স্পষ্ট হল ১৫ নভেম্বর সন্ধেবেলা। সুশান্ত ঘোষের উপর আক্রমণের ঘটনা। আরও একবার জমি দখলের অঙ্ক। তদন্তের পরতে পরতে জড়িয়ে গেল জমি মাফিয়া লিঙ্ক। কীভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় বারবার উঠে এল জবরদখল তত্ত্ব? দুহাজার স্কোয়ার ফুট জমির জন্য পঞ্চাশ লক্ষ সুপারি? কী এমন মধু আছে সেই জমিতে? সেই জমিতে পৌঁছেই রহস্যের পর্দা ফাঁস হল।
গুলশন কলোনি জঙ্গিদের আঁতুরঘর? বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ঘাঁটি গড়ছে অনুপ্রবেশকারীরা? আপনার, আমার শহর এখন জঙ্গিদের দখলে? শেষ কয়েক বছর ধরেই বারবার বাংলার বুকে বের হচ্ছে বাংলাদেশী জঙ্গি যোগ। তাহলে গুলশনে কাদের চাক? সেই চাকে ঢিল পড়লে কী হবে? বারবার বিভিন্ন খাগড়াগড়ের মত ঘটনা বা উত্তরপ্রদেশ বা কর্ণাটক টাস্ক ফোর্সের হাতে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত জঙ্গিরা কী প্রমাণ করে? বেআইনি নির্মাণে বেআইনি আশ্রয়। কবে থামবে তা জানা নেই। কার মদতে হচ্ছে? কাদায় ঢিল ছুড়লে সেই কাদা কার গায়ে ছিটবে জানা নেই! কিন্তু রাজনীতির কাদা ছোড়াছুড়ির শেষ নেই। এই গুলশন আর কোন সত্যি সামনে আনবে?
কলকাতা পুরসভার ১০৮ নং ওয়ার্ড পাল্টেছে একটু একটু করে। তার বদলে যাওয়া চেহারা দেখলে শিউরে উঠতে হয়। সেই বদলের সাইড এফেক্ট জমিদখলের লড়াই। শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। জোর যার জমি তার সেটাই কি এখন নীতি? জমি মাফিয়ার দৌরাত্বেই কি প্রাণ হারাতে বসেছিলেন কাউন্সিলর? নাকি লুকিয়ে অন্য ইকুয়েশন? জমি হাঙরদের দাপটে কীভাবে কলকাতার প্রাণ ওষ্ঠাগত? অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। দোষ কার? তাঁর উত্তর স্পষ্ট নয়। কিন্তু একটা জিনিস স্পষ্ট। গুলশন কলোনিতে জমি চুরি আর বেআইনি নির্মাণের প্রমান। বেআইনি বাড়িগুলোর বাসিন্দারা? সেখানেও গোলমাল! জমি আর টাকার লোভে আমরা কি আমাদের শহরকে এইভাবে তিলে তিলে শেষ করে দিতে পারি?