Bengal Cyclist: প্যাডেলে চাপ দিয়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন হাসি
Bengali Cyclist: বামুনওয়াড়ির ভাঙাচোরা রাস্তাতে হাসি দুলে সাইকেল চালিয়ে অবশেষে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছয়। ২০১৯ সালে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হওয়া স্পেশাল অলিম্পিকে অংশ গ্রহণ। ভারতের হয়ে ১০ ও ৫ কিমি সাইকেল রেসিং প্রতিযোগিতায় ২ টি রুপোর পদক জয়।
ইচ্ছাশক্তিটাই আসল। আর সেই ইচ্ছাশক্তিই মানুষকে আজ চাঁদে পৌঁছে দিয়েছে। একের পর এক আবিষ্কার ঘটেছে। আর সেই ইচ্ছাশক্তিই হাসির মুখে ফুটিয়েছে চওড়া হাসি। ডানকুনির হাসি দুলে। আরও সঠিকভাবে বললে ডানকুনির বামুনওয়াড়ির দুলে পাড়ার হাসি দুলে। ছোট থেকেই সাইকেল অন্ত প্রাণ। গ্রামের এবড়োখেবড়ো রাস্তায় যেখানে হাঁটাই দুষ্কর। সেখানে সাইকেলের প্যাডেলে পা দিয়ে ঝড় তোলেন হাসি দুলে।
বছর পাঁচেক আগে হাসির সাইকেল প্রীতি দেখে এক প্রতিবেশী জানান, সাইকেল রেসিংয়ের কথা। সাইকেল তো মনের আনন্দে চালানো হয়। সেটা নিয়ে আবার প্রতিযোগিতাও হয় নাকি বিশ্বমঞ্চে। হাসির চোখে তখন একরাশ স্বপ্ন। স্বপ্নের সঙ্গে ধীরে ধীরে মিশল হসির ইচ্ছাশক্তি। বামুনওয়াড়ির ভাঙাচোরা রাস্তাতে সাইকেল চালিয়ে অবশেষে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে যাওয়া। ২০১৯ সালে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হওয়া সামার অলিম্পিকে অংশ গ্রহণ। ভারতের হয়ে ১০ ও ৫ কিমি সাইকেল রেসিং প্রতিযোগিতায় ২ টি রুপোর পদক জয়। এখন আরও বড় স্বপ্নে বিভোর সে।
বেশি দূর পড়াশোনা করানোর সামর্থ ছিল না ।হাসির বাবা, মা পেশায় দিন মজুর।গ্রামের স্কুলেই দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে হাসি। ব্যস সেটুকুই। তারপর সাইকেল। শুধুই সাইকেল।২০১৯ সালে।দিল্লিতে মাত্র দিন পাঁচেকের প্রশিক্ষণ। তারপর প্লেনে করে আবুধাবিতে উড়ে যাওয়া। সেখান থেকেই সাফল্যের উড়ানে।
এখন লক্ষ্য অলিম্পিক। এ বাংলায় একসময়ে সাইক্লিংয়ের জোর চর্চা ছিল। সে অনেক বছর আগে। পাঁচের দশকে। ভারতের সাইক্লিস্টদের দলে তখন বাংলার রমরমা। সময়ের গতিতে বাংলার সাইক্লিস্টরা পিছিয়ে পড়়েছেন। কালের নিয়মে হারিয়েও গিয়েছেন। হাসিদের লড়াই আবার হাসি চওড়া করছে বাংলার সাইক্লিং দুনিয়ায়।