Gariahat Hawker Eviction: ‘অপারেশন সানশাইন’ থেকে বর্তমান উচ্ছেদ অভিযান―হকারদের প্রশ্ন একটাই…

Jun 27, 2024 | 8:16 PM

Gariahat: মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার হকারে কিছুটা হলেও নমনীয় হলেন। আপাতত এক মাস আর আর বুলডোজার চলবে না। কিন্তু প্রশ্ন থেকে গেল একটা জায়গাতেই। এতদিন ধরে যারা ব্যবসা করছেন, বা মুখ্যমন্ত্রীর কথায় যাদের টাকা নিয়ে বসানো হয়েছে তাদের কী হবে? ১৯৯৬ সালেও দাবিটা ছিল কর্মসংস্থানের। রুজি রুটির। পেট চালানোর। এতবছর পরও দাবিটা একই আছে। দোকান চলে গেলে খাব কী?

Follow Us

গড়িয়াহাট মোড়। শহর কলকাতার এই চার মাথার এই মোড়টার একটা পরিচয় আছে। বিরাট একটা বাজার। কিন্তু ফুটপাথের দোকানের ভীড়ে দোকানের দেখা মেলে না। ফুটপাথ দিয়ে মানুষ কার্যত হাঁটতে পারেন না। জামা-কাপড়, কস্টিউম জুয়েলারি, ঘর সাজানোর জিনিস, ব্যাগ-জুতো, বলা যেতে পারে এটু জেড পাওয়া যায় গড়িয়াহাটের ফুটপাথে। পুজো বা যে কোনও উত্‍সবে তো কথাই নেই। গড়িয়াহাটের মোড়ে দাঁড়িয়ে দর দাম করে জিনিস কিনতে না পারলে যেন বাঙালির শপিংটা ঠিক কমপ্লিট হয় না। কিন্তু এই দোকানগুলি নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। আগেও ছিল না। বলা ভালো দশকের পর দশক। একদিকে অভিযোগ, অন্যদিকে কেনাকাটার মুসকিল আসান। দুটো মিলেই চলছিল সবটা। ১৯৯৬ সালে তত্‍কালীন বাম সরকার, ফুটপাথ দখলের অভিযোগে উচ্ছেদ অভিযানে নামে। কলকাতার ইতিহাসে যা পরিচিত অপারেশন সানশাইন নামে, কিন্তু তত্‍কালীন বাম সরকার কারণ খোঁজার চেষ্টা করেনি। কেন বাড়ছিল হকার সংখ্যা? সেই উত্তর দিতে পারেনি বাম সরকার। অপারশেন সানশাইনের বিরোধিতা করেছিলেন তত্‍কালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯৮ সালে তিনি গঠন করেন তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর ২০০০ সালে পুরসভা নির্বাচনে বামেদের হাত থেকে কলকাতা পুরসভা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস।

অপারেশন সানশাইনের কিছু দিন পর থেকেই যদিও গড়িয়াহাট আবার নিজের ছন্দেই ফিরেছিল। আবার ফুটপাথে দোকান, হকারদের ডাকাডাকি, জনতার দরদাম। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ল হকার সংখ্যা। তা সে গড়িয়াহাট হোক বা হাতিবাগান বা ধর্মতলা। ১৯৯৬ সালের পর আবার একটা উচ্ছেদের হিড়িক। তবে এবার শুধু গড়িয়াহাট নয়, গোটা রাজ্যেই বুলডোজার, পে লোডার চলল। ভাঙল দোকান। পরিস্কার হল রাস্তা। কিন্তু বিতর্ক কী মিটল? মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার হকারে কিছুটা হলেও নমনীয় হলেন। আপাতত এক মাস আর আর বুলডোজার চলবে না। কিন্তু প্রশ্ন থেকে গেল একটা জায়গাতেই। এতদিন ধরে যারা ব্যবসা করছেন, বা মুখ্যমন্ত্রীর কথায় যাদের টাকা নিয়ে বসানো হয়েছে তাদের কী হবে? ১৯৯৬ সালেও দাবিটা ছিল কর্মসংস্থানের। রুজি রুটির। পেট চালানোর। এতবছর পরও দাবিটা একই আছে। দোকান চলে গেলে খাব কী?

গড়িয়াহাট মোড়। শহর কলকাতার এই চার মাথার এই মোড়টার একটা পরিচয় আছে। বিরাট একটা বাজার। কিন্তু ফুটপাথের দোকানের ভীড়ে দোকানের দেখা মেলে না। ফুটপাথ দিয়ে মানুষ কার্যত হাঁটতে পারেন না। জামা-কাপড়, কস্টিউম জুয়েলারি, ঘর সাজানোর জিনিস, ব্যাগ-জুতো, বলা যেতে পারে এটু জেড পাওয়া যায় গড়িয়াহাটের ফুটপাথে। পুজো বা যে কোনও উত্‍সবে তো কথাই নেই। গড়িয়াহাটের মোড়ে দাঁড়িয়ে দর দাম করে জিনিস কিনতে না পারলে যেন বাঙালির শপিংটা ঠিক কমপ্লিট হয় না। কিন্তু এই দোকানগুলি নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। আগেও ছিল না। বলা ভালো দশকের পর দশক। একদিকে অভিযোগ, অন্যদিকে কেনাকাটার মুসকিল আসান। দুটো মিলেই চলছিল সবটা। ১৯৯৬ সালে তত্‍কালীন বাম সরকার, ফুটপাথ দখলের অভিযোগে উচ্ছেদ অভিযানে নামে। কলকাতার ইতিহাসে যা পরিচিত অপারেশন সানশাইন নামে, কিন্তু তত্‍কালীন বাম সরকার কারণ খোঁজার চেষ্টা করেনি। কেন বাড়ছিল হকার সংখ্যা? সেই উত্তর দিতে পারেনি বাম সরকার। অপারশেন সানশাইনের বিরোধিতা করেছিলেন তত্‍কালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯৮ সালে তিনি গঠন করেন তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর ২০০০ সালে পুরসভা নির্বাচনে বামেদের হাত থেকে কলকাতা পুরসভা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস।

অপারেশন সানশাইনের কিছু দিন পর থেকেই যদিও গড়িয়াহাট আবার নিজের ছন্দেই ফিরেছিল। আবার ফুটপাথে দোকান, হকারদের ডাকাডাকি, জনতার দরদাম। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ল হকার সংখ্যা। তা সে গড়িয়াহাট হোক বা হাতিবাগান বা ধর্মতলা। ১৯৯৬ সালের পর আবার একটা উচ্ছেদের হিড়িক। তবে এবার শুধু গড়িয়াহাট নয়, গোটা রাজ্যেই বুলডোজার, পে লোডার চলল। ভাঙল দোকান। পরিস্কার হল রাস্তা। কিন্তু বিতর্ক কী মিটল? মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার হকারে কিছুটা হলেও নমনীয় হলেন। আপাতত এক মাস আর আর বুলডোজার চলবে না। কিন্তু প্রশ্ন থেকে গেল একটা জায়গাতেই। এতদিন ধরে যারা ব্যবসা করছেন, বা মুখ্যমন্ত্রীর কথায় যাদের টাকা নিয়ে বসানো হয়েছে তাদের কী হবে? ১৯৯৬ সালেও দাবিটা ছিল কর্মসংস্থানের। রুজি রুটির। পেট চালানোর। এতবছর পরও দাবিটা একই আছে। দোকান চলে গেলে খাব কী?

Next Video