Britain Epidemic Situation: দরজায় আরও এক অতিমারি, ব্রিটেনে ফিরল কোয়ারেন্টিন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: আসাদ মল্লিক

May 24, 2024 | 8:38 PM

Britain News: ব্রিটেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী অলিভার ডাওডেন দেশবাসীকে বলেছেন, আবার অতিমারির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তেমনটা ঘটলে ঘরেই তা মোকাবিলার প্রাথমিক প্রস্তুতি রাখতে হবে। দেখুন ব্রিটিশ সরকার এমন একটা নির্দেশিকা জারি করতে গেল কেন? এমনি এমনি তো করেনি। কারণ আছে বলেই করেছে। গতকালই আমি বলেছি প্রাণঘাতী জীবাণুর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

Follow Us

অতিমারি আছড়ে পড়লে ঘর থেকেই শুরু করতে হবে মোকাবিলা। এজন্য ব্রিটিশ নাগরিকদের ৩ দফা নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের স্বাস্থ্য দফতর। আপদকালীন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, কী করা যাবে না। এসব নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে, ই-মেলে এসেছে সরকারি বার্তা। অত্যন্ত জরুরি একটা খবর। কেন জরুরি, পরে সে কথায় আসছি। আগে বলি, ব্রিটিশ সরকার ঠিক কীভাবে প্রস্তুতি নিতে বলল। বলা হয়েছে, সব পরিবারে মাথাপিছু একটা করে এমার্জেন্সি কিট বক্স রাখতেই হবে। তাতে থাকবে পাওয়ার ব্যাঙ্ক। ছোট টর্চ। মিনি রেডিও। ফার্স্ট এইড বক্স। জলের বোতল। চকোলেটের মতো শুকনো খাবার। আর অন্তত ৬টা মাস্ক। হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সর্দিকাশি ও ফ্লুয়ের ওষুধ। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য দফতরের বার্তায় বলা হয়েছে, সর্দিকাশি বা হালকা জ্বর হলে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখাই ভালো। এখানে কোয়ারান্টিন শব্দটা ব্যবহার করা হয়নি বটে। তবে কার্যত সেই পরামর্শই দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী অলিভার ডাওডেন দেশবাসীকে বলেছেন, আবার অতিমারির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তেমনটা ঘটলে ঘরেই তা মোকাবিলার প্রাথমিক প্রস্তুতি রাখতে হবে। দেখুন ব্রিটিশ সরকার এমন একটা নির্দেশিকা জারি করতে গেল কেন? এমনি এমনি তো করেনি। কারণ আছে বলেই করেছে। গতকালই আমি বলেছি প্রাণঘাতী জীবাণুর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে আমাদের একটাই প্রশ্ন। কোভিডের পর আরও একটা বিশ্ব মহামারি কি কড়া নাড়ছে আমাদের দরজায়? উত্তরটা বিশেষজ্ঞরাই দিতে পারবেন। তবে কোভিড আছড়ে পড়ার সাড়ে চার বছরের মাথায় আরও এক অতিমারির সম্ভাবনা যেন ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের ফ্লার্ট প্রজাতি কীভাবে দেশে দেশে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। একথাও তো আমি আপনাদের বলেছি। তবে মুশকিলটা হল যে কোভিডের সময়ে স্বাস্থ্য বিপর্যয় রুখতে একটা নতুন সিস্টেম তৈরির প্রয়োজনীয়তা বোঝা গিয়েছিল। ব্যাস, ওইটুকুই। তারপর আর একটুও এগোনো যায়নি। কোভিডের আগে আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম, এখনও সেখানেই দাঁড়িয়ে। অথচ বিশেষজ্ঞরা আঁচ দিয়েই রেখেছেন, আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরণের কোনও অতিমারি ফের বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেবে। সেই সময়টা কী আরও এগিয়ে আসছে? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

আশঙ্কার পর এবার একটা আশার খবর আপনাদের দিই। মহিলাদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়। দেখা যাচ্ছে মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদের শরীরেও ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ ভাল কাজ করছে এই ভ্যাকসিন। পুরুষেরা এই ভ্যাকসিন নিলে নাক ও গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাচ্ছে। পুরুষদের দেহে ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি ভ্যাকসিন কতটা কাজ করছে, এনিয়ে দীর্ঘ গবেষণা চালিয়েছে আমেরিকান ইন্সস্টিটিউট অফ অঙ্কোলজিক্যাল সোসাইটি ও বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়। তাতেই উঠে এসেছে, এইচপিভি ভ্যাকসিন মহিলাদের ক্ষেত্রে যতটা কার্যকরী, পুরুষদের ক্ষেত্রেও ঠিক ততটাই ফলদায়ক। খালি নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের কাজ করার পদ্ধতিটা আলাদা রকম। আপনাদের জানিয়ে রাখি ৩৪ লক্ষ মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিনেটেড ও বাকি ৫০ শতাংশ নন- ভ্যাকসিনেটেড। এঁদের মধ্যে ১০ শতাংশ ছিলেন পুরুষ। গবেষণার ফল আমি এক এক করে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। এক, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মহিলাদের মধ্যে ফের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কম। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার কমবেশি ৭০ শতাংশ। ভ্যাকসিনেটেড পুরুষদের মধ্যে ২৬ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে নন-ভ্যাকসিনেটেড ৫৭ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। মানে ভ্যাকসিন নিলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাচ্ছে। দেখুন সারা বিশ্বে যতরকম ক্যান্সার দেখা যায়, তার মধ্যে জরায়ু মুখের ক্যান্সার চতুর্থ স্থানে। আর আমাদের দেশে মহিলারাদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। বছরে গড়ে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার মহিলা জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এজন্য এতদিন মহিলাদের জন্য এইচপিভি ভ্যাকসিন প্রেসক্রাইব করতেন চিকিত্‍সকরা। এবার একই ভ্যাকসিন পুরুষদের ক্যান্সার চিকিত্‍সাতেও ভরসা হয়ে উঠতে পারে।

অতিমারি আছড়ে পড়লে ঘর থেকেই শুরু করতে হবে মোকাবিলা। এজন্য ব্রিটিশ নাগরিকদের ৩ দফা নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের স্বাস্থ্য দফতর। আপদকালীন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, কী করা যাবে না। এসব নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে, ই-মেলে এসেছে সরকারি বার্তা। অত্যন্ত জরুরি একটা খবর। কেন জরুরি, পরে সে কথায় আসছি। আগে বলি, ব্রিটিশ সরকার ঠিক কীভাবে প্রস্তুতি নিতে বলল। বলা হয়েছে, সব পরিবারে মাথাপিছু একটা করে এমার্জেন্সি কিট বক্স রাখতেই হবে। তাতে থাকবে পাওয়ার ব্যাঙ্ক। ছোট টর্চ। মিনি রেডিও। ফার্স্ট এইড বক্স। জলের বোতল। চকোলেটের মতো শুকনো খাবার। আর অন্তত ৬টা মাস্ক। হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সর্দিকাশি ও ফ্লুয়ের ওষুধ। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য দফতরের বার্তায় বলা হয়েছে, সর্দিকাশি বা হালকা জ্বর হলে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখাই ভালো। এখানে কোয়ারান্টিন শব্দটা ব্যবহার করা হয়নি বটে। তবে কার্যত সেই পরামর্শই দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী অলিভার ডাওডেন দেশবাসীকে বলেছেন, আবার অতিমারির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তেমনটা ঘটলে ঘরেই তা মোকাবিলার প্রাথমিক প্রস্তুতি রাখতে হবে। দেখুন ব্রিটিশ সরকার এমন একটা নির্দেশিকা জারি করতে গেল কেন? এমনি এমনি তো করেনি। কারণ আছে বলেই করেছে। গতকালই আমি বলেছি প্রাণঘাতী জীবাণুর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে আমাদের একটাই প্রশ্ন। কোভিডের পর আরও একটা বিশ্ব মহামারি কি কড়া নাড়ছে আমাদের দরজায়? উত্তরটা বিশেষজ্ঞরাই দিতে পারবেন। তবে কোভিড আছড়ে পড়ার সাড়ে চার বছরের মাথায় আরও এক অতিমারির সম্ভাবনা যেন ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের ফ্লার্ট প্রজাতি কীভাবে দেশে দেশে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। একথাও তো আমি আপনাদের বলেছি। তবে মুশকিলটা হল যে কোভিডের সময়ে স্বাস্থ্য বিপর্যয় রুখতে একটা নতুন সিস্টেম তৈরির প্রয়োজনীয়তা বোঝা গিয়েছিল। ব্যাস, ওইটুকুই। তারপর আর একটুও এগোনো যায়নি। কোভিডের আগে আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম, এখনও সেখানেই দাঁড়িয়ে। অথচ বিশেষজ্ঞরা আঁচ দিয়েই রেখেছেন, আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরণের কোনও অতিমারি ফের বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেবে। সেই সময়টা কী আরও এগিয়ে আসছে? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

আশঙ্কার পর এবার একটা আশার খবর আপনাদের দিই। মহিলাদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়। দেখা যাচ্ছে মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদের শরীরেও ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ ভাল কাজ করছে এই ভ্যাকসিন। পুরুষেরা এই ভ্যাকসিন নিলে নাক ও গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাচ্ছে। পুরুষদের দেহে ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি ভ্যাকসিন কতটা কাজ করছে, এনিয়ে দীর্ঘ গবেষণা চালিয়েছে আমেরিকান ইন্সস্টিটিউট অফ অঙ্কোলজিক্যাল সোসাইটি ও বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়। তাতেই উঠে এসেছে, এইচপিভি ভ্যাকসিন মহিলাদের ক্ষেত্রে যতটা কার্যকরী, পুরুষদের ক্ষেত্রেও ঠিক ততটাই ফলদায়ক। খালি নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের কাজ করার পদ্ধতিটা আলাদা রকম। আপনাদের জানিয়ে রাখি ৩৪ লক্ষ মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিনেটেড ও বাকি ৫০ শতাংশ নন- ভ্যাকসিনেটেড। এঁদের মধ্যে ১০ শতাংশ ছিলেন পুরুষ। গবেষণার ফল আমি এক এক করে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। এক, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মহিলাদের মধ্যে ফের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কম। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার কমবেশি ৭০ শতাংশ। ভ্যাকসিনেটেড পুরুষদের মধ্যে ২৬ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে নন-ভ্যাকসিনেটেড ৫৭ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। মানে ভ্যাকসিন নিলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাচ্ছে। দেখুন সারা বিশ্বে যতরকম ক্যান্সার দেখা যায়, তার মধ্যে জরায়ু মুখের ক্যান্সার চতুর্থ স্থানে। আর আমাদের দেশে মহিলারাদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। বছরে গড়ে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার মহিলা জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এজন্য এতদিন মহিলাদের জন্য এইচপিভি ভ্যাকসিন প্রেসক্রাইব করতেন চিকিত্‍সকরা। এবার একই ভ্যাকসিন পুরুষদের ক্যান্সার চিকিত্‍সাতেও ভরসা হয়ে উঠতে পারে।

Next Video