Jammu & Kashmir: কীভাবে সফল খানওয়ার অপারেশন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Tapasi Dutta

Nov 04, 2024 | 10:57 PM

খানওয়ার জায়গাটা শ্রীনগরের খুব কাছে হলেও এর চরিত্র অনেকটাই আলাদা। খানওয়ারের বেশ বড় এলাকা জঙ্গল ও পাহাড়ে ঘেরা। সেই জঙ্গল ও পাহাড়ের মধ্যে ছোট, ছোট পাড়া। তেমনই একটায় পাড়ায় গা-ঢাকা দিয়ে ছিল উসমান ও তার সঙ্গীরা। অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উসমানের লোকেশন ট্রেস করলেও প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা সেখানে পৌঁছতে পারেনি নিরাপত্তাকর্মীরা।

Follow Us

ধরুন, আপনি বন্ধুদের সঙ্গে গভীর জঙ্গলে অ্যাডভেঞ্চারে গেলেন। দু- একদিন পরই ফিরে আসবেন, সেই প্ল্যান করেই গেলেন। কিন্তু যেমনটা ভাবা হয়েছিল, ঘটনা সেরকম হল না। আপনারা জঙ্গলে পথ হারালেন এবং ঘুরতে থাকলেন। বেশ কয়েকদিন কেটে গেল। অথচ আপনাদের সঙ্গে খাবার বলতে খালি বিস্কুট। তো এই পরিস্থিতিতে সেই বিস্কুটই হয়ে উঠবে অক্সিজেনের মতো। এই যেমন ভারতীয় সেনার ক্ষেত্রে হল।

শ্রীনগর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে খানওয়ার। গত কয়েকদিন ধরে এখানে গা-ঢাকা দিয়ে ছিল লস্কর-ই- তৈবার এরিয়া কম্যান্ডার উসমান। দু-দশক ধরে পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড। এই মুহূর্তে লস্করের ছায়া সংগঠন দ্য রেসিন্টেন্স ফোর্সের জোনাল হেড। গত কয়েকদিনে জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গি হানার ঘটনায় অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। উসমানকে হাতে পেতে শুক্রবার ভোর থেকে খানওয়ারের অভিযান শুরু করে সিআরপিএফ ও জম্মু – কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল ফোর্স। খানওয়ার জায়গাটা শ্রীনগরের খুব কাছে হলেও এর চরিত্র অনেকটাই আলাদা। খানওয়ারের বেশ বড় এলাকা জঙ্গল ও পাহাড়ে ঘেরা। সেই জঙ্গল ও পাহাড়ের মধ্যে ছোট, ছোট পাড়া। তেমনই একটায় পাড়ায় গা-ঢাকা দিয়ে ছিল উসমান ও তার সঙ্গীরা। অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উসমানের লোকেশন ট্রেস করলেও প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা সেখানে পৌঁছতে পারেনি নিরাপত্তাকর্মীরা। কেননা, পুলিশ জানত, অভিযানের আঁচ পেলেই সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালানো শুরু করবে লস্কর জঙ্গিরা। ২০০৩ সালে এই আখনুরেই উসমানকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। সেবার সাধারণ মানুষের উপর গুলিবৃষ্টি করে, পুলিশকে ব্যস্ত রেখে জঙ্গলে গা-ঢাকা দেয় উসমান। এবার আর সেই ঝুঁকি নিতে চায়নি নিরাপত্তাপত্তা বাহিনী। তিন – চার ঘণ্টা ধরে এলাকা ঘেরার পর হঠাত্‍ই দাঁড়িয়ে পড়েন জওয়ানরা। দীর্ঘক্ষণ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই সিদ্ধান্ত হয়, সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ছাড়াই উসমানকে ধরা হবে এবং সেজন্য নতুন কৌশলে অভিযান চলবে।

নিরাপত্তা কর্মীদের মূল চিন্তা ছিল, খানওয়ারে থাকা কুকুরের দলকে নিয়ে। আশঙ্কা ছিল, একসঙ্গে এতজন অচেনা লোককে দেখলে কুকুরের দল চিত্‍কার শুরু করবে এবং তাতে উসমান ও তার সঙ্গীরা সতর্ক হয়ে যাবে। এই সময়ই মুশকিল হলো এমন একটা জিনিস, যার কথা সম্ভবত আগে ভাবাই হয়নি। হ্যাঁ, আমি বিস্কুটের কথাই বলছি। একদম সাধারণ গ্লুকোজ বিস্কুট। আপনি – আমি যে বিস্কুট খাই প্রতিদিন, সেটাই নিরাপত্তা বাহিনীকে অক্সিজেন দিল, বলা যেতে পারে। সেনার দেওয়া বিস্কুট খেতে ব্যস্ত কুকুরের দল আর অচেনা লোকদের নিয়ে মাথা থামায়নি। ফলে, কোনও বিপত্তি ছাড়া, কাউকে কিচ্ছু জানতে না দিয়েই উসমানের ডেরায় ঢুকে পড়েন নিরাপত্তা-কর্মীরা। সেনাসূত্রে খবর, ভোর থেকে দুপুর – প্রায় সাত ঘণ্টা মুখোমুখি সংঘর্ষ। তারও কয়েক ঘণ্টা পর উসমানের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। জম্মু- কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, উসমান ও তার সঙ্গীরা এ-কে ৪৭ থেকে গুলি চালিয়েছে। ঘনঘন গ্রেনেড ও বোমা ফাটিয়েছে। পাশের বাড়িতে প্রবল শব্দে আগুন ধরে যায়। গ্যালোপিন নামে একটি যন্ত্র ব্যবহার করে সেই আগুন নিভিয়েছে সিআরপিএফ। গ্যালোপিন এমন এক যন্ত্র যা ছোট এলাকায় আগুন দ্রত নিভিয়ে দিতে পারে। সবমিলিয়ে একশো শতাংশ সাকসেসফুল অ্যান্টি টেরর অপারেশন। আর সেটা সম্ভব হল উপস্থিত বুদ্ধি, প্ল্যানিং ও ধৈর্য্যের জেরে।

কীভাবে আখনুরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে হাতিয়ার করে জঙ্গিদের চিহ্নিত করে নিকেশ করেছে সেনা। এর পরপরই খানওয়ারের ঘটনা। সেনাকর্তা ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন করে, নতুন রূপে উপত্যকায় মাথাচাড়া দিচ্ছে সন্ত্রাস। সাধারণ মানুষের উপর হামলা হচ্ছে। জঙ্গল, পাহাড় থেকে সেনাকে টার্গেট করছে জঙ্গিরা। এর মোকাবিলায় নতুন ও অভিনব উপায়ের কথাই ভাবতে হবে এবং আমরা ঠিক সেটাই করছি।

ধরুন, আপনি বন্ধুদের সঙ্গে গভীর জঙ্গলে অ্যাডভেঞ্চারে গেলেন। দু- একদিন পরই ফিরে আসবেন, সেই প্ল্যান করেই গেলেন। কিন্তু যেমনটা ভাবা হয়েছিল, ঘটনা সেরকম হল না। আপনারা জঙ্গলে পথ হারালেন এবং ঘুরতে থাকলেন। বেশ কয়েকদিন কেটে গেল। অথচ আপনাদের সঙ্গে খাবার বলতে খালি বিস্কুট। তো এই পরিস্থিতিতে সেই বিস্কুটই হয়ে উঠবে অক্সিজেনের মতো। এই যেমন ভারতীয় সেনার ক্ষেত্রে হল।

শ্রীনগর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে খানওয়ার। গত কয়েকদিন ধরে এখানে গা-ঢাকা দিয়ে ছিল লস্কর-ই- তৈবার এরিয়া কম্যান্ডার উসমান। দু-দশক ধরে পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড। এই মুহূর্তে লস্করের ছায়া সংগঠন দ্য রেসিন্টেন্স ফোর্সের জোনাল হেড। গত কয়েকদিনে জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গি হানার ঘটনায় অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। উসমানকে হাতে পেতে শুক্রবার ভোর থেকে খানওয়ারের অভিযান শুরু করে সিআরপিএফ ও জম্মু – কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল ফোর্স। খানওয়ার জায়গাটা শ্রীনগরের খুব কাছে হলেও এর চরিত্র অনেকটাই আলাদা। খানওয়ারের বেশ বড় এলাকা জঙ্গল ও পাহাড়ে ঘেরা। সেই জঙ্গল ও পাহাড়ের মধ্যে ছোট, ছোট পাড়া। তেমনই একটায় পাড়ায় গা-ঢাকা দিয়ে ছিল উসমান ও তার সঙ্গীরা। অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উসমানের লোকেশন ট্রেস করলেও প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা সেখানে পৌঁছতে পারেনি নিরাপত্তাকর্মীরা। কেননা, পুলিশ জানত, অভিযানের আঁচ পেলেই সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালানো শুরু করবে লস্কর জঙ্গিরা। ২০০৩ সালে এই আখনুরেই উসমানকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। সেবার সাধারণ মানুষের উপর গুলিবৃষ্টি করে, পুলিশকে ব্যস্ত রেখে জঙ্গলে গা-ঢাকা দেয় উসমান। এবার আর সেই ঝুঁকি নিতে চায়নি নিরাপত্তাপত্তা বাহিনী। তিন – চার ঘণ্টা ধরে এলাকা ঘেরার পর হঠাত্‍ই দাঁড়িয়ে পড়েন জওয়ানরা। দীর্ঘক্ষণ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই সিদ্ধান্ত হয়, সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ছাড়াই উসমানকে ধরা হবে এবং সেজন্য নতুন কৌশলে অভিযান চলবে।

নিরাপত্তা কর্মীদের মূল চিন্তা ছিল, খানওয়ারে থাকা কুকুরের দলকে নিয়ে। আশঙ্কা ছিল, একসঙ্গে এতজন অচেনা লোককে দেখলে কুকুরের দল চিত্‍কার শুরু করবে এবং তাতে উসমান ও তার সঙ্গীরা সতর্ক হয়ে যাবে। এই সময়ই মুশকিল হলো এমন একটা জিনিস, যার কথা সম্ভবত আগে ভাবাই হয়নি। হ্যাঁ, আমি বিস্কুটের কথাই বলছি। একদম সাধারণ গ্লুকোজ বিস্কুট। আপনি – আমি যে বিস্কুট খাই প্রতিদিন, সেটাই নিরাপত্তা বাহিনীকে অক্সিজেন দিল, বলা যেতে পারে। সেনার দেওয়া বিস্কুট খেতে ব্যস্ত কুকুরের দল আর অচেনা লোকদের নিয়ে মাথা থামায়নি। ফলে, কোনও বিপত্তি ছাড়া, কাউকে কিচ্ছু জানতে না দিয়েই উসমানের ডেরায় ঢুকে পড়েন নিরাপত্তা-কর্মীরা। সেনাসূত্রে খবর, ভোর থেকে দুপুর – প্রায় সাত ঘণ্টা মুখোমুখি সংঘর্ষ। তারও কয়েক ঘণ্টা পর উসমানের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। জম্মু- কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, উসমান ও তার সঙ্গীরা এ-কে ৪৭ থেকে গুলি চালিয়েছে। ঘনঘন গ্রেনেড ও বোমা ফাটিয়েছে। পাশের বাড়িতে প্রবল শব্দে আগুন ধরে যায়। গ্যালোপিন নামে একটি যন্ত্র ব্যবহার করে সেই আগুন নিভিয়েছে সিআরপিএফ। গ্যালোপিন এমন এক যন্ত্র যা ছোট এলাকায় আগুন দ্রত নিভিয়ে দিতে পারে। সবমিলিয়ে একশো শতাংশ সাকসেসফুল অ্যান্টি টেরর অপারেশন। আর সেটা সম্ভব হল উপস্থিত বুদ্ধি, প্ল্যানিং ও ধৈর্য্যের জেরে।

কীভাবে আখনুরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে হাতিয়ার করে জঙ্গিদের চিহ্নিত করে নিকেশ করেছে সেনা। এর পরপরই খানওয়ারের ঘটনা। সেনাকর্তা ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন করে, নতুন রূপে উপত্যকায় মাথাচাড়া দিচ্ছে সন্ত্রাস। সাধারণ মানুষের উপর হামলা হচ্ছে। জঙ্গল, পাহাড় থেকে সেনাকে টার্গেট করছে জঙ্গিরা। এর মোকাবিলায় নতুন ও অভিনব উপায়ের কথাই ভাবতে হবে এবং আমরা ঠিক সেটাই করছি।

Next Video