North Korea’s Kim Jong Un: আবার কিম-জং-উন আরেকটা যুদ্ধের ঘোষণা প্রায় করেই দিলেন!
South Korea: কিমের মাথার ওপরে রাশিয়া ও চিনের হাত। হিরোশিমার প্রায়শ্চিত্ত করতে জাপানের পাশে আমেরিকা। আর দক্ষিণ কোরিয়া দেশটাই তো গড়ে উঠেছে আমেরিকার সহায়তায়। মার্কিন সেনার পদক্ষেপ মানেই পিছনে গোটা পশ্চিমী দুনিয়া। তাই কিম যদি যুদ্ধ লাগিয়ে দেন। তাহলে অচিরেই তা মিনি বিশ্বযুদ্ধের চেহারা নিতে পারে বলে আশঙ্কা। দুনিয়াজুড়ে যা চলছে তাতে খবরের বড় অংশে যুদ্ধের খবরই ঢুকে পড়ছে। কিম গিয়েছিলেন তাঁর দেশের এক সামরিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। গিয়ে বলেছেন দেশের চারদিকে সামরিক ও রাজনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ।
ইজরায়েলে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। এই নিয়ে যখন আশঙ্কা বাড়ছে তখন এদিকে আবার কিম-জং-উন আরেকটা যুদ্ধের ঘোষণা প্রায় করেই দিলেন। কিমের রণহুঙ্কারের পরই উত্তর কোরিয়ায় আর্মি মুভমেন্ট শুরু হয়ে গেছে বলে খবর দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম। কিম কোন দেশে প্রথমে অ্যাটাক করতে পারেন। জাপান নাকি দক্ষিণ কোরিয়া। এ নিয়ে নানারকম জল্পনাও চলছে। কিমের মাথার ওপরে রাশিয়া ও চিনের হাত। হিরোশিমার প্রায়শ্চিত্ত করতে জাপানের পাশে আমেরিকা। আর দক্ষিণ কোরিয়া দেশটাই তো গড়ে উঠেছে আমেরিকার সহায়তায়। মার্কিন সেনার পদক্ষেপ মানেই পিছনে গোটা পশ্চিমী দুনিয়া। তাই কিম যদি যুদ্ধ লাগিয়ে দেন। তাহলে অচিরেই তা মিনি বিশ্বযুদ্ধের চেহারা নিতে পারে বলে আশঙ্কা। দুনিয়াজুড়ে যা চলছে তাতে খবরের বড় অংশে যুদ্ধের খবরই ঢুকে পড়ছে। কিম গিয়েছিলেন তাঁর দেশের এক সামরিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। গিয়ে বলেছেন দেশের চারদিকে সামরিক ও রাজনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ। তাই আমাদের সেনাকে আগের চেয়ে আরও বেশি তত্পর হতে হবে। আরও বেশি করে তৈরি থাকতে হবে। কিমের নির্দেশের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার সেনা যে নড়াচড়া শুরু করে দিয়েছে। সে কথাটা তো বললামই। তবে উত্তর কোরিয়ার সেনার নজর দেশের দক্ষিণ নাকি পূর্বে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। আলোচনার সুবিধার জন্য এখানে কয়েকটা কথা আপনাদের বলে রাখি। ১৯১০ সালে কোরিয়া দখল করে নেয় জাপান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান হেরে যাওয়ার পর মিত্রবাহিনী কোরিয়ার দখল নেয়। দেশের মাঝখানে একটা দাগ কেটে দেওয়া হয়। দাগের উত্তর দিকে গেঁড়ে বসে সোভিয়েতের লাল ফৌজ। আর দক্ষিণে মার্কিন সেনা। কোরিয়া দেশটা উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ হয়ে যায়। ১৯৫০ সালে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়া আক্রমণ করে। বকলমে চিন-রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই চলে আমেরিকা ও ইউরোপের ২০টি দেশের। ৩ বছর পর সন্ধি হয়। দুই কোরিয়ার মাঝখানে ৪ কিলোমিটার একটা এলাকাকে ডি-মিলিটারাইজড বাফার জোন ঘোষণা করা হয়। গোলাগুলি বন্ধ হলেও দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা যায়নি। আর জাপানের কথা যদি বলি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কয়েক লক্ষ কোরিয়ান মহিলাকে জাপ সেনাশিবিরে কমফর্ট উইমেন হিসাবে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। ঔপনিবেশিকতার সেই দিনগুলো দক্ষিণ কোরিয়া ভুলে গেলেও উত্তর কোরিয়া ভোলেনি। সে গল্প আপনাদের অন্য কোনওদিন বলব। যাই হোক না কেন তাই দক্ষিণে দক্ষিণ কোরিয়া আর পূর্বে সমুদ্রের অন্য পাড়ে জাপান। দুই দেশের সঙ্গেই উত্তর কোরিয়ার আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক। কিম পুরোদমে তার সুযোগ নিচ্ছেন। ইতিহাসের ক্ষত সারিয়ে তোলার চেষ্টা না করে নিজের দেশে জনপ্রিয় হতে সেই ক্ষতে নতুন করে খোঁচা দিচ্ছেন। আর সেনাকে বলছেন কোনও দ্বিধা না করে শত্রুকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। সেজন্য যে কোনও পদক্ষেপ করতে হবে। যেমনটা তিনি সেনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বললেন। আরেকটা কথাও আপনাদের বলবো। কোন সময়ে কিম যুদ্ধের ঘোষণা করলেন। সবেমাত্র দক্ষিণ কোরিয়াতে সাধারণ নির্বাচনের রেজাল্ট বেরিয়েছে। শাসকদল কনজারভেটিভ পার্টিকে হারিয়ে দিয়েছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। দেশের প্রেসিডেন্ট ইয়ুন-সুক-ইওলের স্ত্রী এক মার্কিন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লাক্সারি ব্র্যান্ড ডিয়রের একটা ব্যাগ উপহার নেন। উপহারে দুর্নীতির অভিযোগ। আর পিঁয়াজের দাম। এই দুই ইস্যুতে কনজারভেটিভরা কুপোকাত হয়েছেন। তবে প্রেসিডেন্ট ইয়ুন-সুক-ইওলের নিজের মেয়াদ ফুরোতে এখন ৩ বছর বাকি। সাধারণ নির্বাচনের ফল দেখে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের গদি টিকিয়ে রাখতে ডানপন্থী এই নেতা জাতীয়তাবাদেই ভর করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এমন একটা সময়ই যুদ্ধের হুমকি দিলেন কিম। যখন কিনা আবার কোরীয় সাগরের জলে মিলছে তেজস্ক্রিয়তার চিহ্ন। গণতন্ত্রে বিরোধী দল থাকে। নানা রকম চেক অ্যান্ড ব্যালান্স থাকে। কমিউনিস্ট উত্তর কোরিয়ায় তো আর সেসবের বালাই নেই। তাই যুদ্ধে নেমে পড়াটা কিমের কাছে সোজা। সেই সোজা কাজটা এই তিনি করলেন ভেবে তটস্থ গোটা কোরিয়ান পেনিনসুলা। আরেকটা যুদ্ধের আশঙ্কায় সারা দুনিয়া।