দেশজুড়ে বর্ষা বিপর্যয়, প্রকৃতির তাণ্ডবে বহুতল যেন তাসের ঘর!

TV9 Bangla Digital | Edited By: Tapasi Dutta

Aug 02, 2024 | 8:06 PM

এবছরের ১০ মে মাস থেকে শুরু হয় কেদারনাথ যাত্রা। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ইতিমধ্যে দর্শন করে এসেছেন দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম কেদারনাথ। এই যাত্রাপথে ট্রেক করেই যান পুণ্যার্থীরা। এবার সেখানেই বিপদ! বু

এবছরের ১০ মে মাস থেকে শুরু হয় কেদারনাথ যাত্রা। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ইতিমধ্যে দর্শন করে এসেছেন দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম কেদারনাথ। এই যাত্রাপথে ট্রেক করেই যান পুণ্যার্থীরা। এবার সেখানেই বিপদ! বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া মেঘভাঙা বৃষ্টিতে এক্কেবারে লন্ডভন্ড অবস্থা। ভেসে গেছে একেরে পর এক সেতু, বহু রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে শিবতীর্থে!

বুধবার থেকে হওয়া ভারী বৃষ্টির জেরে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রুদ্রপ্রয়াগ। কেদারনাথ-গৌরীকুণ্ড রুটে ভীমবলীতে আটকে পড়েন বহু পুণ্যার্থী। মন্দাকিনীর জলে ভীমবলীতে ২০ থেকে ২৫ মিটার রাস্তা পুরো উধাও হয়েছে। কেদারনাথ এবং যমুনোত্রীর ট্রেকিয়ের পথও আপাতত বন্ধ।

কেদারনাথের পথে ধসপ্রবণ এলাকাগুলিতে পুণ্যার্থীরা কোথাও আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আটকে থাকা কয়েকশো পুণ্যার্থীকে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করে সোনপ্রয়াগে আা হয়েছে। এখনও যেসব পুণ্যার্থী আটকে রয়েছেন, তাঁদের উদ্ধারে নেমেছে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ।

টানা দুর্যোগের জেরে বৃষ্টি এবং ধসে উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। গুরুতর জখম হয়েছে বেশ কয়েকজন। বহু পুণ্যার্থীর সঙ্গে যোগাযোগই করতে পারেনি পরিবার। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কেদারনাথে আটকে থাকা দু হাজারের বেশি পুণ্যার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও কেদারনাথে যাওয়ার পথে আটকে পড়া কয়কেশো পুণ্যার্থীকে উদ্ধার করা হয়। তবে এখনই বিপদ কাটছে না দেবভূমির। টিহরী এবং রুদ্রপ্রয়াগে ভারী বৃষ্টি হয়েই চলেছে। আরও ৪৮ ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দুই জেলায়।

চিন্তা শুধু উত্তরাখণ্ড নিয়ে নয়, প্রকৃতির রুদ্ররূপ হিমাচলেও। কাদার স্রোত, আর পাথরের চাঁই মিলেমিশে এক্কেবারে লণ্ডভণ্ড পাহাড়ী রাজ্য। কুলু মানালি শিমলা, ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির আইডিয়াল ডেস্টিনেশান। সেই ডেস্টিনেশানই এখন বেহাল। শুধু কী তাই, অচেনা বৃষ্টিতে মরুরাজ্যের অবস্থাও শোচনীয়। আর কবে শিক্ষা নেব আমরা? প্রশ্নটা জোড়াল হচ্ছে।

কাদার স্রোত, আর পাথরের চাঁই…তাতে আটকে পড়েছে গাড়ি। একটার পর একটা বাড়ি ভেঙেচুরে গেছে। বেশ কিছু স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত। সাজানো গোছানো গ্রাম এখন যেন ধ্বংসস্তূপ। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বুধবার থেকে অবস্থা খারাপ হচ্ছিল পাহাড়ি রাজ্যের। তার মধ্যে নতুন বিপদ।

দেশ জুড়ে বর্ষা-বিপর্যয়। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল ভাসছে। রুখাশুখা মরু রাজ্যও হাবুডুবু। জয়পুরে জলে ডুবে মৃত্যু হল তিনজনের। জয়পুরে গোটা মাসের বৃষ্টি ঝরে একদিনে। তারই জেরে বেনজিরভাবে জলে ঢুকে যায় জয়পুর বিমানবন্দরেও জল। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছায় যে পাইলটকে ডিউটিতে যাওয়ার জন্য উঠতে হয় ট্রলিতে।

যে চুরু তীব্র গরমের জন্য খ্যাত সেখানেই রেকর্ডভাঙা বৃষ্টিতে। অচেনা দুর্যোগে কার্যত দিশেহারা অবস্থা রাজস্থানের বাসিন্দাদের। আর রাজস্থান লাগোয়া মধ্যপ্রদেশেও দুর্যোগ। জব্বলপুরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে কয়েকজন। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে SDRF।